Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

লবণ খামারে আর্টিমিয়া চাষ মৎস্য খাতের জন্য নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে 

সফিউল আলম, কক্সবাজার

এপ্রিল ১৬, ২০২১, ০১:১০ পিএম


লবণ খামারে আর্টিমিয়া চাষ মৎস্য খাতের জন্য নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে 

কক্সবাজার অঞ্চল মৎস্য অপরিশোধিত লবণ উৎপাদন এবং পর্যটন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভমিকা রেখে চলছে। 

জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি নানাবিধ প্রাকৃতিক সমস্যা অত্র অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার জন্য হুমকিস্বরূপ। 

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ কর্তৃক বাস্তবায়িত, "আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ" প্রকল্পের সামগ্রিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো জলবায়ুবান্ধব সঠিক উদ্ভাবন প্রযুক্তির মাধ্যমে কক্সবাজার অঞ্চলে লবণ চাষীদের খাদ্য ও পুষ্টির নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা। 

প্রকল্পের সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যগুলো হলো- লবণ এবং আর্টিমিয়ার সমন্বিত উৎপাদন ব্যবস্থা চালু করা এবং লবণ খামারে সামুদ্রিক মৎস্য চাষের উৎপাদন ও এর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে লবণ চাষীদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন।

"আর্টিমিয়া সিস্ট এবং বায়োমাস আহরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সংরক্ষণ" বিষয়ক অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মূল বক্তা এবং প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন ভিয়েতনামের কান্থো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এনগুইন ভ্যান হোয়া এবং বেলজিয়ামের ঘেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. প্যাট্রিক সরগিলস।"

আর্টিমিয়া ফর বাংলাদেশ প্রকল্পের সকল গবেষকগণ ভার্চুয়াল এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আর্টিমিয়ার পুকুর ব্যবস্থপনা, আর্টিমিয়া সিস্ট ও বায়োমাস আহরণ ও গুণগত মানের নিশ্চয়তা, প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সংরক্ষণ পদ্ধতির পাশাপাশি কক্সবাজারে আর্টিমিয়া চাষের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তথ্যবহুল আলোচনা  করা হয়। এছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর প্রধান করেন প্রফেসর ড. প্যাট্রিক সরগিলস।

প্রকল্পের টিম লিডার ড. মুহাম্মদ মীজানুর রহমান তার সূচনা বক্তব্যে বলেন, আর্টিমিয়া হল এমন এক ধরনের জলজ ক্ষুদ্র জীব যা অধিক ঘনত্বের লবণ পানিতে চাষ করা হয় এবং সারাবিশ্বে এটি মৎস্য ও চিংড়ি হ্যাচারিতে লার্ভার জীবিত খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়। 

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর চিংড়ি হ্যাচারিতে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে যে ৪০ মে. টন আর্টিমিয়া আমদানি করা হয়, তার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পের অধীনে লবণ খামারে লবণ ও আর্টিমিয়া চাষের মাধ্যমে চাষিরা অধিক লাভবান হবেন এবং দেশে আর্টিমিয়ার চাহিদা পূরনে আমদানি নির্ভরতা কমবে।

প্রকল্পটি কক্সবাজার জেলার লবণ খামারগুলিতে, সমন্বিত লবণ, আর্টিমিয়া এবং মাছ উৎপাদনের মাধ্যমে লবণ, মাছ চাষীদের জীবিকার ও আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। উপকুলীয় লবণ খামারে আর্টিমিয়া চাষ একটি লাভজনক কার্যক্রম যা প্রত্যাশিত লবণ চাষীদের এবং বাংলাদেশের মৎস্য খাতের জন্য নতুন দ্বার উন্মুক্ত করবে বলে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আমারসংবাদ/কেএস