Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটপাটের শিকার হয়ে গ্রাম ছাড়া দুই ভাই 

বেলাল হোসেন মিলন, বরগুনা

এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০২:৩০ পিএম


বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটপাটের শিকার হয়ে গ্রাম ছাড়া দুই ভাই 

বরগুনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে দুটি বসতবাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও লুটপাটের শিকার হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বরগুনা সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামে মজিবুর রহমান ও তার ভাই মোঃ হিমু মিয়া। চুরি, লুটপাট, হামলা, ডাকাতি কোন বিষয়ে মামলা গ্রহণ করবেন এ নিয়ে গড়িমসি করছে থানা পুলিশ। পূর্ণাঙ্গ কোর্ট না খোলার কারণে কোর্টেও মামলা করতে পারছেন না মজিবুর রহমান।

সরজমিনে জানা যায়, শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার আয়লাপাতাকাটা ইউনিয়নের পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামে মজিবুর রহমান ও তার ভাই মোঃ হিমু মিয়ার বসতবাড়িতে পূর্ব শত্রুতার জেরে দুটি বসতবাড়ি ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। 

মজিবর রহমানের স্ত্রী ওয়াহিদা পারভিন জানান, শনিবার রাত আনুমানিক ৮টার দিকে পার্শ্ববর্তী একই বংশের ফোরকান, ইউনুস, কামাল, শামিম, আইয়ুব আলী, নান্টু, দেলোয়ার মেম্বার, আলতাফ হোসেনসহ ৩০/৪০ জনের একটিদল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী কায়দায় ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। 

তারা ঘরে থাকা ষ্টিল আলমিরা ভেঙ্গে নগদ ৭০হাজার টাকা, ৭ভরি স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইল সেট নিয়ে চলে যায়। তিনি আরও বলেন, পার্শ্ববর্তী তার দেবর মোঃ হিমু মিয়ার বসত ঘরও এসময় তারা কুপিয়ে ভাংচুর করে। প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাড়িয়ে দেয় আমাদের। এ ঘটনায় মজিবর রহমান বরগুনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান সোমবার (১৯ এপ্রিল) আমার সংবাদ এর প্রতিনিধির সাথে অভিযোগ করে  বলেন, আজ তিন দিন অতিবাহিত হলেও আমরা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারছি না প্রভাবশালী প্রতিপক্ষের প্রভাবে। তারা খুনজখমের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তাদের ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমাদের পরিবার বাড়িতে নিরাপত্তারহীনতার মধ্যে আছে। বাড়িতে ভয়ে যেতে পারছি না। 

তিনি আরো বলেন, পুলিশ মামলা না নেয়ায় প্রতিপক্ষরা আমাদের মেরে ফেলার হুমকি-ধমকি দিচ্ছে।  চুরি, লুটপাট, হামলা, ডাকাতি কোন বিষয়ে মামলা গ্রহণ করবে এনিয়ে গড়িমসি করছে থানা পুলিশ। পুলিশ মামলা না নেওয়ায় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন তিনি।

এ ব্যাপারে বরগুনা সদর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, মজিবুর রহমান ও তার ভাই হিমুর বসতঘরে হামলা করে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ পাঠিয়ে পুলিশের পিকআপ ভ্যানে করে তাদেরকে থানায় নিয়ে আসা হয়।

বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কেএম তারিকুল ইসলাম বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আমারসংবাদ/কেএস