Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা ওই যুবক মানসিক অসুস্থ

এপ্রিল ২০, ২০২১, ০৯:০০ এএম


ফেনীতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা ওই যুবক মানসিক অসুস্থ

ফেনীতে লকডাউন চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করা রিকশা আরোহী ওই যুবক মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। 

তার সাথে পুলিশ সদস্যরা আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে পারতেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাইনুল ইসলাম।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ওই ঘটনায় পুলিশের এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

এছাড়াও এ ঘটনায় ঘটনাস্থলে থাকা দুই কনস্টেবলকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার খোন্দকার নূরুন্নবী বিপিএম পিপিএম স্বাক্ষরিত এক আদেশে এসআই যশোমন্ত মজুমদারকে ফেনী মডেল থানা থেকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে একইদিন শহরের মডেল হাই স্কুল গেটের সামনে লকডাউনে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে রিকশা আরোহী শহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। শহিদ সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের ভূঞারহাট এলাকার বাসিন্দা।

ভাইরাল হয়ওয়া ৩ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, শহরের উকিলপাড়া থেকে রিকশা আরোহী শহিদ মুখে মাস্ক না পরে ট্রাংক রোডের দিকে আসছিলেন। 

তার রিকশাটি মডেল স্কুলের সামনে পৌঁছালে ফেনী মডেল থানার দায়িত্বরত উপ পরিদর্শক (এসআই) যশোমন্ত মজুমদারসহ পুলিশ সদস্যরা গতিরোধ করেন।

এসময় ওই যুবক চিৎকার করে বলতে থাকেন- ‘অন্য রিকশা ছেড়ে দিছস। আমার রিকশা কেন ধরা হয়েছে।’ শুরু হয় বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে পুলিশ জোর পূর্বক ঐ যুবককে রিকশা থেকে নামানোর চেষ্টা করে। জোরপূর্বক নামানোর পর ওই যুবক গালমন্দ করতে থাকেন।

পুলিশ তাকে ‘পাগল’ আখ্যা দিলে কেন পাগল বলা হয় তার কারণ জানতে চান যুবক। তার হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে চার পুলিশ সদস্যের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। তখন ওই যুবক বারবার বলতে থাকেন- ‘এই দেশে পুলিশের অনেক ক্ষমতা, না!’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হওয়া ওই যুবকের নাম শহিদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের ভূঞারহাট এলাকার বাসিন্দা এবং যুবলীগের সক্রিয় সদস্য।

ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. ওমর হায়দার জানান, ওই যুবকটির মানসিক সমস্যা রয়েছে। ওই যুবক কিছুদিন পরপর ভাইরাল হতে চায়। 

তাকে হাজতখানায় রাখার পর চিৎকার করে সবাইকে অস্থির করে তোলেন। এক পর্যায়ে তার স্বজনদের ডেকে আনলে তারা মানসিক সমস্যার কথা জানান। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।

আমারসংবাদ/এআই