নিজস্ব প্রতিনিধি
এপ্রিল ২০, ২০২১, ০৯:২০ এএম
সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সংগীতশিলী ফরিদা পারভীন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ইউনিভাসেরল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (সাবেক আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল) গত ১২ এপিল ভর্তি হয়েছিলেন।
করোনা সংক্রমণে পাশাপাশি তিনি দীঘরদিন যাবৎ কিডনির জটিলতা, ডায়াবেটিস, উচ রক্তচাপসহ থাইরয়েড জটিলতায় ভুগছিলেন।
হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী জানান, ফরিদা পারভীন এখন অনেকটাই সুস্থ। করোনার কোনো উপসর্গ এখন আর তার মধ্যে নেই। তার অক্সিজেন মাত্রাও স্বাভাবিক আছে। এই অবসায় বাসায় থেকে আইসোলেশনে থাকবেন তিনি। সর্বোপরি সুস্থ আছেন ফরিদা পারভীন। আশা করি, খুব শীঘই তিনি সাভাবিক জীবনে ফিরবেন।
তার সুস্থতায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা পরামর্শ দিয়েছেন- কিডনী রোগ ও ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ ডাঃ রানা মোকাররম হোসেন, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডাঃ গৌতম সেন, ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোহামদ আনুল হানান এবং ডাঃ মেহদি হাসান। আজ সকালে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড় পত্র দেয়া হয়।
ফরিদা পারভীন লালনের গান গেয়ে দেশে-বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন। ১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালন সংগীতের তালিম নেন।
১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক পান। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে 'ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার' পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।
শিশুদের লালন সংগীত শিক্ষায় 'অচিন পাখি স্কুল' নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।
আমারসংবাদ/কেএস