Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

শেরপুরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, এলাকাবাসীর ধাওয়ায়....

শেরপুর প্রতিনিধি

এপ্রিল ২০, ২০২১, ১০:৪০ এএম


শেরপুরে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রাণনাশের হুমকি, এলাকাবাসীর ধাওয়ায়....

শেরপুরে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে রিভলবার প্রদর্শন পরে এলাকাবাসীর ধাওয়ায় হামলাকারীরা মটরসাইকেল ও আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে পালিয়ে গেছে। সদর উপজেলার গাজীরখামার ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের ওই কথিত ঘটনাটি ঘটে।  

ঘটনার একদিন পরও মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি। সেইসাথে ঘটনার সংশ্লিষ্টতায় আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি কোনো ব্যক্তি। তবে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক তোলপাড়।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার গাজীরখামার চকপাড়া গ্রামের আন্তাজ আলীর পরিবারের সঙ্গে একই গ্রামের উসমান গনির পরিবারের জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও পূর্বশত্রুতা চলে আসছিল।

এরই জের ধরে অভিযোগ উঠে, সোমবার বিকেলে উসমান গনি, তার ভাই শহিদুল ইসলাম ও উসমানের ছেলে আকাশ একটি মোটরসাইকেলে করে আন্তাজ আলীর চকপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে রিভলবার প্রদর্শন করে ও তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। 

ওই সময় আন্তাজ আলীর বাড়ির লোকজন তাদের প্রতিরোধ করেন এবং একপর্যায়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় আন্তাজ আলীর লোকজন উসমান গনি, শহিদুল ও আকাশকে আটকের চেষ্টা করলে তারা রিভলবার ও তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায় বলে দাবি করা হয়।

বিকেলেই কথিত ঘটনার খবর পেয়ে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, এসআই মো. সুজাউদদৌলাসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রিভলবার ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যান। তবে ওই ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া ৩ জনের কাউকে আটক করা যায়নি।

এদিকে, পালিয়ে যাওয়া উসমান গনি, শহিদুল ও আকাশের আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় সূত্রগুলো বলছে ভিন্ন কথা। 

তাদের দাবি, ওই ৩ ব্যক্তি ও তাদের স্বজনদের ফাঁসাতেই আন্তাজ আলী ও তার লোকজন ওই ঘটনা সাজিয়েছে।

এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছেও বিষয়টি নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আগ্নেয়াস্ত্র ও মোটরসাইকেল ফেলে হামলাকারীদের পালানোর অভিযোগটি নিয়ে যথেষ্ট ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।

তা আদৌ তারা ফেলে রেখে গেছে, না তা দিয়ে উল্টো তাদেরকেই ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে-সেটি নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তাই ওই ঘটনায় এখনও থানায় কোনো মামলা রেকর্ড ও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

তবে একটি জিডি রুজু সাপেক্ষে খুব সতকর্তার সাথে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে। সুষ্ঠু তদন্তেই খুব দ্রুত বিষয়টি পরিস্কার হবে বলে আশা করছি।

আমারসংবাদ/এআই