Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

আমতলীতে জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

জিএম মুছা, আমতলী

এপ্রিল ২০, ২০২১, ০২:৫০ পিএম


আমতলীতে জমি নিয়ে বিরোধে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বৃদ্ধ সোনা মিয়া শুনু হাওলাদারকে (৭০) তার ফুফাতো ভাই মেনাজ ফকির ও তার লোকজন পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে বরগুনার আমতলী উপজেলার পুর্ব সোনাখালী গ্রামের মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে। 

পুলিশ নিহত সোনা মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সোনা মিয়ার হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 

জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব সোনাখালী গ্রামের সোনা মিয়া হাওলাদারের সাথে তার ফুফুাতো ভাই পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার আমখোলা ইউনিয়নের কাঞ্চনবাড়ীয়া গ্রামের মেনাজ ফকিরের সাথে এক একর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। 

মঙ্গলবার বেলা সারে ১১ টার দিকে ওই জমিতে মেনাজ ফকির ২০-২২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে জমি চাষাবাদ শুরু করেন। খবর পেয়ে সোনা মিয়া হাওলাদার তাদের জমি চাষাবাদে বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয় ফুফাতো ভাই মেনাজ হাওলাদার। এক পর্যায় মেনাজ ফকির, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফা ও তার লোকজন বৃদ্ধ সোনা মিয়া হাওলাদারকে মারধর শুরু করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে রক্ষায় তার ছোট ভাই মোঃ আব্দুর রশিদ হাওলাদার এগিয়ে গিয়ে মেনাজ ফকিরের পা জড়িয়ে ধরে কাকুতি মিনতি করে ভাইয়ের প্রাণ ভিক্ষা চায়। কিন্তু তাতে তার মন গলেনি। সন্ত্রাসীদের ভয়ে এলাকাবাসী সোনা মিয়াকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি। ঘাতক মেনাজ ফকির ও তার লোকজন সোনা মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে বীর দর্পে লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। 

খবর পেয়ে আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ওই দিন বিকেলে পুলিশ তার মহদেহ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। বৃদ্ধ সোনা মিয়াকে প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী সোনা মিয়ার হত্যার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। 

প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, মেনাজ ফকিরের নেতৃত্বে ২০-২২ জন সন্ত্রাসী এসে জমিতে চাষাবাদ শুরু করে। এতে বাঁধা দেয় সোনা মিয়া হাওলাদার। এক পর্যায় তারা সোনা মিয়া হাওলাদারকে পিটিয়ে হত্যা করে বীর দর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ ঘটনায় আমরা শাস্তি দাবি করছি।

নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের ছোট ভাই আব্দুর রশিদ হাওলাদার বলেন, ভাইকে রক্ষায় আমি মেনাজ ফকিরের পায়ে জড়িয়ে ধরে অনেক কান্নাকাটি করেছি। কিন্তু তাতে মেনাজ ফকির ও তার লোকজনের মন গলাতে পারিনি। তারা আমার ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটনায় বিচার দাবি করছি। 

নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের ছেলে জালাল হাওলাদার বলেন, আমার বাবাকে মেনাজ ফকির, মোতালেব, আদম আলী ফকির, আবুল মৃধা, মোস্তফাসহ ২০-২২ জন সন্ত্রাসী পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ ঘটার বিচার চাই।

আমতলী থানার ওসি মোঃ শাহ আলম হাওলাদার বলেন, নিহত সোনা মিয়া হাওলাদারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্ততি চলছে। তিনি আরো বলেন, আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যহত আছে।  

আমারসংবাদ/কেএস