গৌরীপুর প্রতিনিধি
এপ্রিল ৩০, ২০২১, ০২:২৫ পিএম
দৈনিক জনতার গৌরীপুর প্রতিনিধি ও অনলাইন চমক নিউজ ডট কমের ময়মনসিংহ বিভাগীয় ব্যুরো চীফকে মামলায় ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে যাওয়া উপজেলার ৪নং মাওহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপনের বিরুদ্ধে গৌরীপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন সাংবাদিক শেখ মোঃ বিপ্লব।
চেয়ারম্যান কর্তৃক মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর আশংকায় বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে দায়ের করা সাধারণ ডায়েরিতে তিনি উল্লেখ করেন- আমি শেখ মোঃ বিপ্লব দৈনিক জনতা ও চমক নিউজ ডট কম এর ময়মনসিংহ বিভাগীয় ব্যুরো চীফ হিসেবে কর্মরত আছি।
২০২০ সালের করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাৎ এর বিষয়ে গৌরীপুরে কর্মরত অবস্থায় ডিএসবি'র চাল উদ্ধারের অভিযানের লাইভ দেওয়ায় ও সংবাদ প্রচার করাকে কেন্দ্র করে মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপন ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা ও হামলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
পূর্বের ঘটনার জেরে ২৯ এপ্রিল ২০২১ খ্রিঃ তারিখে মাওহা ইউনিয়নের নহাটা গ্রামের জনৈক মহিলার সন্তানের পিতৃত্বের দাবীতে গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
চেয়ারম্যান চক্রান্তমূলকভাবে মামলার বাদীকে আমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেয়ার জন্য পরামর্শ দেন। উক্ত ঘটনাটি বাদী আমাকে মোবাইল ফোনে অবহিত করেন। আমার উপর হামলা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর আশংকা রয়েছে। তাই আমার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপনার থানায় উক্ত ঘটনাটি সাধারণ ডায়েরী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে বাধিত করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপন জানান, কোন মহিলার সঙ্গে তিনি এ ধরনের কোন কথা বলেননি।
এ ব্যাপারে শেখ বিপ্লব বলেন, আমি চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপনের অপকর্ম নিয়ে একাধিক নিউজ করেছি যে তথ্য ও প্রমানের ভিত্তিতে তা দেখলে আর আমার বক্তব্যের প্রয়োজন পড়ে না। বরং সে আমাকে নিয়ে যে ষড়যন্ত্র করছে তার প্রমাণ মিলবে।
২০১৭ সালের ৬ জুন অপবাদ দিয়ে ২ জনকে নির্যাতন শিরোনামে প্রথম আলোসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশীত হয় রমিজ উদ্দিন (স্বপন) নামে। এর পর কর্মসৃজন কর্মসূচির টাকা লুটপাটের গডফাদার শিরোনামেও সংবাদ প্রকাশীত হয়। ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই মাওহা ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও সরকারী কাজে বাধা প্রদানের জন্য গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ১৮/১৭০ তারিখ-১৮/৭/২০১৮ইং। এ নিয়ে ভূমি কর্মকর্তাকে মারধর করলো চেয়ারম্যান শিরোনামে সংবাদ প্রকাশীত হয়। স্থানীয় ভূটিয়ার কোনা বাজারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান কেন্দ্রের সামনে গাছ কর্তৃপক্রে অনুমোতি ছাড়াই কেটে বিক্রি করে দেয়। এ নিয়ে তিনি আবারো পত্রিকার শিরোনাম হন, দৈনিক কালের কন্ঠে ৩১ অক্টোবর ২০১৯ সালে প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম সেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গাছ চুরির মামলা। করোনা মহামারীতে যেখানে জনসমাগম নিষেধ সেই খানে ২১ এপ্রিল ২০২০ ইং তারিখে ইউনিয়নের সকল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির কার্ডধারী নহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে জড় করে ভিডিও ধার করে চাল চুরিকে যায়েজ করার জন্য।
ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজ বুকে স্থানীয় সচেতন শিক্ষার্থীরা আপলোড করে। ভিডিও শিরোনাম দেওয়া হয় ২য় ব্রাহ্মনবাড়ীয় আমাদের ৪নং মাওহা ইউনিয়ন।
২০২০ সালে ১৩ জুলাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কবির উদ্দিন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ইউপি চেয়ারম্যান এর দূর্নীতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ প্রসঙ্গে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এছাড়া ২৮ আগষ্ট ২০২০ইং সালে মাওহা ইউনিয়নের বৃ-নহাটা গ্রামের সুখি আক্তার বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় ভাংচুর, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও চুরির অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করে চেয়ারম্যান রমিজের বিরুদ্ধে, মামলা নং-৪০। বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ সরকারি ঘর বরাদ্দের অর্থ কেলেংকারির অভিযোগ রয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ সকল ধরনের যান চলাচল ও গন জমায়েত বন্ধ করে দিয়ে সারা দেশ লকডাউন ঘোষনা করে। সেই খানে তিনি করোনা পজেটিভ নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। করোনা পজেটিভ নিয়ে তিনি উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে।
এ নিয়ে ২৫ জুলাই ২০২০ স্থানীয় একটি পত্রিকায় কোড নিউজ প্রকাশীত হয় এই শিরোনামে, কাজ করেছি, করছি, করব, দেহে প্রাণ যতক্ষণ আছে- ইউপি চেয়ারম্যান রমিজ। যা পাঠকদের কাছে হাসির খোরাক হয়। যেখানে তার থাকার কথা ছিল কোয়ারেন্টাইনে বা আইসলিশনে। এবং পরবির্তিতে এলাকায় এটাও প্রচার হয় তিনি সামনে নির্বাচনে করোনার সনদ দিয়ে নৌকা প্রতিক নিয়ে আসবেন।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী জানান, সাংবাদিক শেখ মোঃ বিপ্লব চেয়ারম্যান রমিজ উদ্দিন স্বপনের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। সাধারণ ডায়েরি নং ১০৭০, তারিখ ২৯/০৪/২১ইং।
আমারসংবাদ/কেএস