Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

দম্পতির ভাঙতে বসা সংসার জুড়ে দিলেন ওসি

মে ৪, ২০২১, ০৯:৩৫ এএম


দম্পতির ভাঙতে বসা সংসার জুড়ে দিলেন ওসি

দাম্পত্য কলহের জেরে সংসার প্রায় ভাঙার উপক্রম। এক পর্যায়ে থানায় এসে পরামর্শ চাইলে এমন ভাঙতে বসা সংসার জুড়ে দিলেন ওসি।

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান গত রোববার সকালে থানার নারী, শিশু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে বসে পারিবারিক কলহের এ বিরোধ সমাধান করে দেন। ফলে নিশ্চিত ভাঙতে বসা সংসারটি জোড়া লাগার পাশাপাশি তাদের ছোট সন্তান ফিরে পায় সুন্দর আগামী।

এর আগেও এমন আরো কয়েকটি ভাঙার উপক্রম সংসার জুড়ে দিয়ে বেশ প্রশংসা কুড়িছেন।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, হাবিবুর রহমান ও জান্নাতুল ফেরদৌস দম্পতি পারিবারিক বিভিন্ন কলহের জেরে এক পর্যায়ে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। তাদের দেড়মাস বয়সি একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

স্বামী-স্ত্রী দুজনেই গ্র্যাজুয়েট। একজনের বাড়ি ভালুকা, অন্যজনের বাড়ি চাঁদপুর। হাবিবের চাকরির কারণে মোহনগঞ্জ ভাড়া বাসায় থাকেন। কম্পিউটার ইন্জিনিয়ারিং ডিগ্রি নেয়া হাবিব মোহনগঞ্জে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। সেকারণেই এখানে থাকা।

জান্নাতুলের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, ছয় বছরের সংসার জীবনের শুরুটা মধুর থাকলেও সম্পর্কের তিক্ততা শুরু হয় গত ছয় মাস আগে। সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটি এবং ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দুজনের সম্পর্কে কিছুটা অবনতি ঘটতে থাকে।

দুজনেই শিক্ষিত কিন্তু তার পরও কেউ কাউকে বুঝতে চাইছিলো না। হাতাশা ভর করতে থাকে দুজনের চোখে মুখে। সিদ্ধান্ত নিলেন দুজন আলাদা হয়ে যাবেন। জান্নাতুল তার প্রিয় মানুষটির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলেও গিয়েছিলেন অনেক দূর। ছোট্ট নিষ্পাপ শিশুটির অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ফিরে এলেন তিনি।

তিনি বলেন, অবশেষে বিষয়টির একটা স্থায়ী সমাধান পেতে জান্নাতুল তার সন্তানকে নিয়ে মোহনগঞ্জ থানায় আসেন। সব কথা শুনে তার স্বামী হাবিবকে সংবাদ দিলে তিনিও থানায় চলে আসেন। দুই পক্ষের অভিভাবকদের নিয়ে থানার নারী, শিশু বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্ক এর মাধ্যমে বসে আলোচনা শুরু হয়। ওসির মোটিভেশনাল কথায় হাবিব তার সহধর্মিণী সহ সকলের কাছে ক্ষমা চান। পাশাপাশি আবেগ জড়িত হয়ে শিশু সন্তানকে কুলে নিয়ে কাঁদতে থাকেন। অবশেষে হাবিব-জান্নাত তাদের শিশু সন্তানকে নিয়ে হাতে হাত ধরে ফিরলেন শান্তির নীড়ে।  

ওসি আহাদ বলেন, পুলিশের দৈনন্দিন রুটিন কাজের বাহিরে পারিবারিক কলহের বিরোধ নিষ্পত্তির কাজটি করায় আলোকিত একটি ভবিষ্যত ফিরে পেল একটি ছোট্ট শিশু। বিষয়টি খুব তৃপ্তির।

আমারসংবাদ/কেএস