মে ১৯, ২০২১, ১১:১৫ এএম
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন লোকজন। বুধবার (১৯ মে) সকাল থেকেই ভূঞাপুর বাস টার্মিনাল সহ উপজেলার বিভিন্ন বাস টার্মিনালে ঢাকাগামী যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। যার অধিকাংশই গার্মেন্টস কর্মী।
বাস, ট্রাক, মিনি ট্টাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল ও সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে কর্মস্থলে যাচ্ছে তারা।
সরজমিনে ভূঞাপুর বাসটার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, যাত্রীদের ব্যাপক ভিড়। অধিকাংশই গার্মেন্টস কর্মী। ছুটি শেষে কাজে যোগ দিতে গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। যানবাহন না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
বাস, সিএনজি ও ট্রাকযোগে যেতে চাইলেও গুনতে হচ্ছে দ্বিগুনেরও বেশি ভাড়া। বাসে চন্দ্রা পর্যন্ত যেতে জনপ্রতি ২৫০ সিএনজিতে ৪০০ ও ট্রাকে ১৫০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে তাদের।
ভূঞাপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত জনপ্রতি বাস ভাড়া ১২০ টাকা হলেও এখন দিতে হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
এদিকে যানবাহন গুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। কারো মুখে নেই মাস্ক। এতে করে বেড়ে যাচ্ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি।
যাত্রীরা জানান, ছুটি শেষ। অফিসে যেতে হবে। নয় চাকরি থাকবেনা। ভাড়া বেশি ও কষ্ট হলেও যে কোন উপায়ে যেতে হচ্ছে। কিছুই করার নেই আমাদের।
এদিকে চালকরা জানান, যাত্রী নিয়ে গেলেও ফেরার সময় খালি ফিরতে হয়। স্টাফদের বেতন ও তেল খরচতো তুলতে হবে তাই ভাড়া কিছুটা বেশি নেয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, পুলিশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় টহল দিচ্ছে। এ রকম কিছু বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ ইশরাত জাহান।
আমারসংবাদ/এআই