Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে কর্মতৎপর নান্দাইল প্রাণিসম্পদ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

মে ২৪, ২০২১, ০৯:৩০ এএম


কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে কর্মতৎপর নান্দাইল প্রাণিসম্পদ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা তথা কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গোশত, দুধ, ডিম উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। সে লক্ষ্যে উপজেলার পৌরসদর সহ ১৩টি ইউনিয়নের গবাদী পশু সহ গবাদী পাখি (হাঁস-মুরগী) খামারীদের নিয়মিত সেবা দেয়া হচ্ছে। 

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মলয় কান্তি মোদকের নির্দেশনা মোতাবেক ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ উজ্জল হোসাইন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লোকবল সঙ্কটে থাকার পরও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া উদ্দ্যোক্তাদের উৎসাহকরণ সহ মোবাইল ফোনে তাদেরকে সার্বক্ষণিক সেবা দিতে খুবই কর্মতৎপর রয়েছেন। 

অপরদিকে উপজেলা প্রাণি সম্পদ বিভাগ থেকে খামারিদের বিভিন্ন প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। এতে করে খামারিগণ তাদের খামার পরিচালানা করা আরও সহজতর হচ্ছে। পরিদর্শনে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সৃষ্ট দুর্যোগের মধ্যেই পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে গবাদি প্রাণিগুলোকে মোটাতাজাকরণ সহ বিভিন্ন চিকিৎসা নিতে প্রতিদিন অসংখ্য প্রান্তিক খামারীরা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কার্যালয়ে আসছে। 

সেখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চিকিৎসা, টিকাদান, কৃত্রিম প্রজনন, জরুরী পরামর্শসহ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে ভেটেরিনারী সার্জন ডাঃ মোঃ উজ্জল হোসাইন। এছাড়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মলয় কান্তি মোদক বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে ভ্রাম্যমান পর্যায়ে ডিম ও দুধ বিক্রি সহ খামারিদের প্রকল্প পরিদর্শন করছেন। 

এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পে মোট ৪২ জন স্টাফ নিয়মিত সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। তন্মধ্যে করোনায় জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে ভেটিরিনারী সার্জনের কর্মতৎপরতা বেশ প্রশংসিত। অফিস টাইম ব্যাতীত মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তিনি সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন খামারীদের। 

গবাদী পশুর খামারী ফরিদ ও আলম মিয়া বলেন, “আগের চেয়ে সেবার মান এখন অনেক ভালো। করোনাক্রান্তিকালে পশু হাসপাতালকে ২৪ ঘন্টা জরুরী সেবার আওতায় খোলার রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাই। তাহলে খামারীগণ আরো উপকৃত হবে।” 

ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ উজ্জল হোসাইন জানান, “খামারীদেরকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হবে। খামারীরা যদি না বাঁচে। তাহলে দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে সারাদেশে ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিবে। তাই উদ্যোক্তাদের দুয়ারে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। খামারীরা সহ সাধারন মানুষ গবাদী পশু-পাখি পালনে বেশ সফলতা লাভ করছে। এছাড়া অনলাইন এ্যাপসের মাধ্যমে গবাদী পশু বিক্রি করার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। 

নান্দাইল উপজেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মলয় ক্রান্তি মোদক বলেন, সামপ্রতিক করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক আমরা দুধ,ডিম, মাংস উৎপাদনে চিকিৎসা সেবাসহ সকল কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। তবে পর্যাপ্ত জনবল কাঠামো নিশ্চিত করতে পারলে আমরা দেশকে পর্যাপ্ত প্রাণীজ আমিষের যোগান দিতে পারব।

আমারসংবাদ/এআই