Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

ধরা ছোয়ার বাইরে জুয়ারি, মাদক কারবারি ও সেবনকারীরা 

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 

মে ২৫, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম


 ধরা ছোয়ার বাইরে জুয়ারি, মাদক কারবারি ও সেবনকারীরা 

বিভিন্ন কারণে তরুণদের মধ্যে মাদকাসক্তি দ্রুত বিস্তার লাভ করেছে। মাদকাসক্তি থেকে পরবর্তীতে চুরি, ছিনতাই এবং অপহরণসহ  বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে তারা।

লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার কুলাঘাট, মোগলহাট, মহেন্দ্রনগরসহ বিশেষ করে ব্যাপকভাবে বড়বাড়ি ইউনিয়নের এলাকাজুড়ে জুয়া ও তাস খেলার মাধ্যমে মাদক সেবনকারী ও মাদকের মূল ব্যবসায়ীদের আস্তানা গড়ে উঠেছে। জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীর গয়না বিক্রি, রাতের আঁধারে গবাদিপশু চুরি ও গাছের সুপারি চুরিসহ নানান রকম অভিযোগ উঠেছে জুয়ারি ও মাদকদ্রব্য সেবনকারীদের বিরুদ্ধে। 

মাদকদ্রব্য সেবনে পুরাতন ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি নতুন নতুন শত ব্যবসায়ীর আগমন ঘটেছে এলাকায়। এখানে জুয়া খেলা থেকে শুরু করে ইয়াবা, গাঁজা, মদ, হিরোইন, পেথিডিন ও ফেনসিডিল, বিড়ি, সিগারেট, থেকে শুরু করে নতুন নতুন মাদকদ্রব্য মিলছে এখন হাতের নাগালে। মাদক সেবনে জন্য রংপুর শহর থেকে শুরু করে নানান স্থানের লোকের সমাগম এই এলাকাটিতে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকাবাসী, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনসহ প্রায় সবাই জানেন তাদের ব্যাপারে কিন্তু তারা আছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। স্থানীয় কয়েকজন এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাইলে তাদেরকে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীরা নানাভাবে ভয় দেখিয়ে আটকিয়ে রাখে। 

এলাকাবাসীর সূত্রে আরো জানা যায়, স্থানীয় লোকজনের কাছে তথ্য থাকলেও কৌশল ও জনবলের দিক দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পেরে উঠছেন না তারা। 

এলাকাবাসীর দাবি, এরা প্রশাসনের গতিবিধি আগাম জেনে যায়, তাই তারা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায় এবং মাদক সেবন ও ব্যবসা চালিয়ে যায় নির্দ্বিধায়। 

মাদক সেবন, মাদকদ্রব্য বিক্রি ও  জুয়া খেলা যেসব স্থানগুলোতে দিন রাত চলে সেগুলো হল: বড়বাড়ি শহীদ আবুল কাশেম মহাবিদ্যালয়ের পূর্বদিকের ফাঁকা জমি, জয়হরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শ্বে, বড়বাড়ি বাজারের গ্রামীণ ব্যাংকের পশ্চিমে রেশম বোর্ডের অফিসে ভিতর, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মিশনারি স্কুলের পাশে, আমের তলা বাজারে, পূর্ব আমবাড়ি গ্রামের শাহজান আলীর দোকানের সামনে স্কুল ঘরে, আমবাড়ি কেয়ারের রাস্তার বটতলায়, শিমুলতলা গরুর ফার্মের পূর্বে, খেদাবাগ বাজারের পূর্ব পাশে স্কুলের পিছনে। কলা খাওয়া মন্দিরের সঙ্গে এবং আইরখামার বাজারের দক্ষিণ পার্শ্বে। বিশেষ করে পূর্ব আমবাড়ি গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়েছে অতিমাত্রায়। 

স্থানীয় লোকজনের জোর দাবি, জুয়া খেলা বন্ধ করে মাদক সেবনকারি ও ব্যবসায়ীদের অতি দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে এসে সমাজকে মাদক থেকে দূরে রাখা হোক। মাদকাসক্তির আগ্রাসন ধীরে ধীরে ব্যাপকভাবে গ্রাস করছে তরুণ সমাজকে। তবে এটিকে প্রতিরোধে সচেতনতা আগের তুলনায় অনেক বেশি হলেও মাদকের নেশা থেকে ফিরছে না তরুণ সমাজ। তারপরও মাদকাসক্তির এ বিস্তার উদ্বেগজনক। দেশের উন্নতি অগ্রগতি নির্ভর করে যুব সমাজের কর্মক্ষমতার ওপর। সেই যুব সমাজ যদি মাদকাসক্তিতে ঝুঁকে পড়ে তাহলে জাতীয় অগ্রগতি হুমকির মুখে পড়তে বাধ্য।

আমারসংবাদ/কেএস