Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

নান্দাইলে পুকুরের গর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে ১৫০ বছরের ছায়া বটবৃক্ষ

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

মে ২৭, ২০২১, ০৮:৫৫ এএম


নান্দাইলে পুকুরের গর্ভে বিলীন হতে যাচ্ছে ১৫০ বছরের ছায়া বটবৃক্ষ

শতবর্ষী বটবৃক্ষ মানুষের এক অন্যতম ছায়ার আশ্রয়স্থল। প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রখর তাপদাহে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে বটবৃক্ষের ছায়ার নিচে প্রাণ জুড়াত গ্রামের মানুষ। স্বস্তির নিশ্বাসের সাথে প্রাণভরে গ্রহণ করতো অক্সিজেন ও হিমেল বাতাস। 

শুধু তাই নয়, বটবৃক্ষটি টর্নেডো, ঘুর্ণিঝড় ও সাধারন ঝড়ের সাথে মোকাবেলা করে রক্ষা করতো আশপাশে বসবাসরত বাড়ি-ঘরকে। আর সেই মাতৃতুল্য বটবৃক্ষ অবহেলার কারণে আজ রুগ্ন ও পুকুরের গর্ভে বিলীন হতে চলেছে। এমনটি ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের গাংগাইল গ্রামের ১৫০ শত বছরের পুরানো বটগাছের সাথে। যে স্থানটি বটতলা নামে পরিচিত। এক সময় বটগাছকে ঘিরে এর চারপাশ সরকারি খাস জায়গায় গ্রাম্য বাজার বসতো। কিন্তু কালের পরিক্রমায় সেখানে আর বাজার বসে না। স্থানীয় লোকজন যার যার মতো জায়গা দখল করে নেওয়া উক্ত বটগাছটিরই এখন বেচেঁ থাকায় দায় হয়ে পড়েছে। তার ঢালপালা কেটে নিয়ে রুগ্ন করে দিচ্ছে বটবৃক্ষকে। 

তবে সরজমিনে দেখা যায়, সেই বটবৃক্ষের পাশে দখলের অবশিষ্ট খাস জায়গায় ভূমিহীনদের জন্য ৫টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে বসবাস করছে উপকারভোগী ও তার পরিবারের সদস্যগণ। কিন্তু একমাত্র বটবৃক্ষটিই তাদের উপর ছাতা স্বরূপ ছায়ার আশ্রয়স্থল হিসাবে দাড়িয়ে আছে। সেটিকে রক্ষা করারও দাবী জানিয়েছেন এলাকার অভিজ্ঞমহল ও মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ। 

অনুসন্ধানে জানাগেছে, বটবৃক্ষকে ঘিরে এখানে সিএস ও আরওআর-এ ২৯ শতাংশ সরকারি খাস জমি রয়েছে। বর্তমানে ১০ শতাংশ জায়গায় ভূমিহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া গাংগাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাকির হোসেন চঞ্চল উক্ত বটবৃক্ষ ও সরকারি ইউপি রাস্তা ঘেষে পুকুর খনন করেছে। ফলে বটবৃক্ষের নীচে মাটি সরে গিয়ে শিকড় ও মূল বের হওয়া গাছটি হেলে পড়ছে পুকুরের গর্ভে। যেকোন সময় শতবর্ষী বটগাছটি মাটিতে শুয়ে পড়বে। এতে হারিয়ে যেতে বসেছে এই কালের স্বাক্ষী। 

এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা চঞ্চল জানান, আমি আমার জায়গা পুকুর খনন করেছি। পুকড়ের পাড় ভেঙ্গে গেছে। এতে আমার কিছুই করার নেই। 

গাংগাইল ইউনিয়ন উপ-সহকারী কর্মকর্তা জানান, উক্ত জায়গার কিছু বেদখল হয়েছে। তা উদ্বার করা ব্যবস্থা করা হবে। 

অপরদিকে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আশরাফুজ্জামান খোকন উক্ত খাস জমিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রাপ্ত উপকারভোগীদের জায়গা ব্যাতীত বাকী খাস জমি চিহ্নিত করে সরকারি হেফাজতে সংরক্ষণ করার দাবি জানিয়েছেন।  

আমারসংবাদ/কেএস