Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

হালুয়াঘাটে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাঠদান

এম.এ খালেক, হালুয়াঘাট

জুন ৫, ২০২১, ০৫:৪৫ এএম


হালুয়াঘাটে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পাঠদান

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ব্লক তৈরির মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে এবং অভিভাবকদের মাধ্যমে ওয়ার্কশিটসহ পাঠদান দিচ্ছেন কর্মরত শিক্ষকরা।

এতে দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচিতমুখ শিক্ষকদের কাছে পেয়ে আনন্দে উদ্বেলিত। খুশিতে তারা মনোযোগ দিয়ে পাঠ নিয়ে ওয়ার্কশিট বুঝে নিচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এই পদ্ধতিতে পাঠদান চলছে।

জানা যায়, করোনা মহামারিতে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে প্রায় ১৪ মাস ধরে দেশের সকল বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় স্কুল খোলা আবারও অনিশ্চিত। সংকট মোকাবিলায় জাতীয় শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কাজ করছে। এজন্য নেপ থেকে একটা অন্তর্বর্তীকালীন পাঠ পরিকল্পনা করে দেয়া হয়েছে। শিক্ষকরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিশুদের সাথে সরাসরি দেখা করে পাঠ পরিকল্পনা মোতাবেক তাদের পাঠ বুঝিয়ে দিয়ে বাড়ির কাজ দিয়ে আসবেন। 

শিক্ষার্থীরা এই কাজ করে রাখবে। বাড়ির কাজ সংগ্রহ করে নতুন পাঠ ও বাড়ির কাজ দিয়ে আসবে শিক্ষকরা। তারপরও যদি স্কুল খোলা না হয় তাহলে এই বাড়ির কাজের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে।

এ কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে উপজেলার ৪৪ নম্বর ধারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ব্লক ও সাব-ব্লক ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ও বাড়ির কাজ হিসেবে নেপ প্রণীত ওয়ার্কসিট বিতরণ করছেন। শিক্ষকদের জন্য এটি একটি কষ্টকর কাজ। 

একইসাথে বিভিন্ন শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করা একটি কঠিন কাজ। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বিদ্যালয়ে শ্রেণিভিত্তিক পাঠদানের সুযোগ সৃষ্টি হলে আরও ফলপ্রসূ পাঠদান হতো।

একই বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাওদা রীদি জানায়, শ্রেণি শিক্ষকরা তাদের গ্রামে এসে পাঠ্য বইয়ের সব বিষয়ের ওপর পড়া ক্লাসের মতো করে বুঝিয়ে দিয়েছেন। 

অভিভাবকরা বলছেন, শিক্ষকরা বতর্মান পরিস্থিতিতে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা নিয়ে শিক্ষকরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোযোগী হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রতন দাস জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইন (গুগলমিট) আর অফলাইন (সরাসরি বাড়ি) দুই পদ্ধতিতেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে বলা হয়েছে। 

ইতিমধ্যে আর শিক্ষকরা স্বেচ্ছায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থীদের ব্লক তৈরির মাধ্যমে পাঠদান সহ ওয়ার্কশিট দিয়ে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে পাঠদান থেকে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা শিক্ষার পরিবেশে ফিরে আসছে। বলা চলে শিশুদের সাথে বইয়ের সাথে সর্ম্পক রাখা।

আমারসংবাদ/এআই