Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

পাটগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

জুন ৬, ২০২১, ১১:২০ এএম


পাটগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় গেল শনিবার (৫ জুন) সন্ধায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানায় মুক্তিযোদ্ধা সাবাতুল্লাহ বাদি হয়ে একটিসহ পৃথক আরও দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

রোববার (৬ জুন) পাটগ্রাম মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক আহবায়ক জাকির হোসেনসহ মুক্তিযোদ্ধারা পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) সাথে দেখা করে মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিটের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন, না হলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলেও জানান। 

অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গত শনিবার উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারামারা কল্লাটারি গ্রামের নিজ বাড়ির কাজে জন্য মুক্তিযোদ্ধার নাতি রবিউল ইসলাম ট্রলিতে করে বালু আনতে থাকে। ওইদিন সকাল ১০ টায় রাস্তা দিয়ে বালু পরিবহণে চাঁদা দাবি করে একই গ্রামের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মিনহাজ পারভেজ মিরাজ। এ নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার নাতি ও ট্রলির চালকের সাথে মারপিটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে সন্ধায় এক বৈঠক বসে। ঐ বৈঠকে ডাঙ্গাপাড়া এলাকার মিরাজ, রশিদুল ইসলাম, পানবাড়ি জোড়াব্রীজ এলাকার এফআই রানা, গুড়িয়াটারি এলাকার রাশেদসহ অজ্ঞাতনামা লোকজন মুক্তিযোদ্ধা ও তার নাতি এবং ট্রলির চালককে এলোপাথারী মারপিট করে। 

স্থানীয়রা মারপিটে আহত মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান আহতদের উদ্ধার করে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ভুয়া কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি ও মারপিটের ঘটনা উল্লেখ করে রাতে পাটগ্রাম থানায় মুক্তিযোদ্ধা সাবাতুল্লাহ বাদি হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে। একই ঘটনা উল্লেখ করে ট্রলির চালকের বাবা রশিদুল ইসলাম ও মুক্তিযোদ্ধার নাতি আতাউর রহমান বাদি হয়ে থানায় আরও পৃথক দুইটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।  

মুক্তিযোদ্ধা সাবাতুল্লাহ বলেন, কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে টাকা নিতে না পেয়ে মিরাজ তার লোকজন নিয়ে আমার বুকে মারাত্মক আঘাত করে এবং বাড়ির মহিলাদেরকেও বেধড়ক মারপিট করে। 

তবে মিনহাজ পারভেজ মিরাজের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।

আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উপজেলা কমিটির ও পাটগ্রাম রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি সাফিউল ইসলাম প্রধান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার উপর যারা হাত দেয় এটা অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। তাদেরকে অতিদ্রুত আইনের আওতায় আনা হউক। 

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, চাঁদাবাজি ও মারপিটের ঘটনায় চারটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আমারসংবাদ/কেএস