Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

সাভার প্রতিনিধি  

জুন ৭, ২০২১, ১২:০৫ পিএম


মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা

সাভারের আশুলিয়ায় এক মৎস্যচাষীর দুইটি পুকুরে দুর্বৃত্তদের দেয়া বিষে কয়েক হাজার পাঙ্গাস মাছ মারা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে আশুলিয়ার শিমুলিয়া ইউনিয়নের মোজার মিল এলাকায়।

ভুক্তভোগী খামারী রাসেল মিয়া জানান, বছর খানেক আগেও তার এই খামারেই প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ বিষ দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছিল। এবার দুটি পুকুরের প্রায় ১০লাখ টাকার মাছ একই পদ্ধতিতে মেরে ফেলা হয়েছে।

রাসেল মিয়া বলেন, পুকুরগুলো আমার বাসা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত। আয়তনে প্রায় এক বিঘার মতো। একটার মধ্যে ১২ হাজার আর আরেকটার মধ্যে ৬হাজার পাঙ্গাস মাছের পোনা ছাড়া হয়েছিল। একেকটা পাঙ্গাস এক থেকে দেড় কেজি ওজন হয়েছিল। এখন বাজারে সর্বনিম্ন ৮০ টাকা কেজিতে পাঙ্গাস বিক্রি হয়। সেই হিসাবে আমার ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

রাসেল মিয়া আরও বলেন, মনে হয় শেষ রাতে বিষ দিয়েছে। সকালে যখন আমি মাছের খাবার দিতে এসেছি তখন দেখি মাছ নড়ে না। পরে পুকুরে লোক নামিয়ে দেখি যে, পানির নিচে সব মাছ মরে পড়ে আছে। সেখান থেকে প্রায় ৮০ থেকে ৯০ মণ মাছ  উঠানো হয়েছে।

রাসেল মিয়া বলেন, অল্প বয়সে এরকম একটা ব্যবসা দাঁড় করিয়েছি এটাই আমার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। গেলো বন্যায় আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ইপিজেডের বিষাক্ত পানি ঢুকে আমার এক পুকুরের প্রায় কোটি টাকার মাছ মারা যায়। অনেক টাকা ঋণ হয়ে আছি। এখন আবার এই মাছগুলো মেরে ফেললো। অনেক ক্ষতি হয়ে গেল আমার।

বিষয়টি নিয়ে সাভার উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কামরুল হাসান সরকার বলেন, এই ধরনের বিষয়গুলোতে ডিপার্টমেন্টালি আসলে আমাদের করার মতো তেমন কিছু থাকে না। কারণ কেউ যে ওখানে বিষ প্রয়োগ করেছে এটার কোনো স্বাক্ষী নেই। আবার পানি পরীক্ষা করে বিষ আইডেন্টিফাই করার মতো ব্যবস্থাও আমাদের এখানে নেই। একমাত্র ময়মনসিংহে থাকতে পারে, তবে সেটাও সুনিশ্চিত না। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী চাইলে সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সুস্পষ্ট কারণ দেখাতে হবে। এ জন্য আমরা তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

আমারসংবাদ/কেএস