Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

কন্যা সন্তান জন্ম: অযত্নে ফেলে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 

জুন ৮, ২০২১, ১০:২৫ এএম


কন্যা সন্তান জন্ম: অযত্নে ফেলে রাখায় নবজাতকের মৃত্যু

অবিশ্বাস্য হলেও সত্য আধুনিক এই যুগেও মধ্য যুগের বর্বরতা, নৃশংস আচরণ এখনও মানুষ করছে। এমনই এক বর্বরতার ঘটনা ঘটেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের ধুপুলিয়া গ্রামে। 

এই গ্রামের কদরুল ইসলাম (বৈদী) ও ঝর্ণা খাতুন দম্পতির দুই মেয়ে এক ছেলের পর আবারও কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ায় ক্ষোভে নবজাতক শিশুটিকে অযত্নে কাপড়ে মুড়িয়ে ফেলে রাখার ঘটনা ঘটেছে। সদ্য জন্ম নেয়া শিশুর প্রতি এমন অমানবিক আচরণের পরে অসুস্থ হয়ে শিশুটি মারা যায়। এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পরে পুরো এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। 

এলাকাবাসীর তথ্যে জানা গেছে, ঐ গ্রামের কদরুল ইসলাম (বৈদী) ও ঝর্ণা খাতুন দম্পতির ছোট ছোট দুই মেয়ে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এরপর ঝর্ণা আবারও গর্ভবতী হন এবং গত শনিবার রাতে গোপনে নিজ ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। বিষয়টি সে এবং তার স্বামী পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছেও গোপন করে। পরে তারা স্বামী স্ত্রী মিলে কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে নবজাতকটিকে ঘরের একটি নির্জন স্থানে কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে ফেলে রাখে।

সকালে গৃহবধূ ঝর্ণার প্রসব জনিত কারণে রক্তক্ষরণ শুরু হলে পরিবারের সদস্যরা সন্তান প্রসবের বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তারা একবার জানায় মৃত বাচ্চা হওয়ায় রাতেই মাটি চাপা দিয়েছে আবার বলে ছেলে সন্তান হয়েছে কাউকে দেখতে হবে না। তখন বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের ও পাড়া প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। পরে বিকেলে সবাই তাদের ঘটনার বিষয়ে চাপ দিলে তারা স্বামী স্ত্রী ঘটনাটি খুলে বললে পরিবারের সদস্যরা মুমূর্ষু অবস্থায় অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবণতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে সোমবার (৭ জুন) সকালে মারা যায় হতভাগ্য নবজাতক শিশুটি।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফৈলজানা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সবুজ আলী জানান, আমি ঐ গ্রামের আশপাশের লোকের মুখে শুনেছি ঘটনাটি সত্য।

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারি পুলিশ সুপার (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন বলেন, এমন একটি ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাটি এখনও আমাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। ওসি সাহেব ঘটনাস্থলে গেছেন। তিনি সেখান থেকে আসলে বিস্তারিত জেনে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

আমারসংবাদ/কেএস