আমার সংবাদ ডেস্ক
জুন ১১, ২০২১, ০৩:২০ পিএম
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা বিধান চন্দ্র মণ্ডল (৩৭) নামে এক যুবকের মরদেহ প্রায় ১৫ ঘণ্টা বাড়িতে পড়েছিল। মৃত্যুর পর স্ত্রী ছাড়া অন্য স্বজনরা গা ঢাকা দেন। পরে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী মুসলিম যুবকরা তার মরদেহটি স্থানীয় ধর্মীয় নেতাদের অনুমতি নিয়ে সৎকারের ব্যবস্থা করেছেন।
শুক্রবার (১১ জুন) মরদেহটি সৎকারে এগিয়ে আসেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সিডিও ইয়ুথ টিমের’ সদস্যরা। এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেলে মারা যান উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের বিধান চন্দ্র মণ্ডল।
স্থানীয়রা জানান, আপনজনরা তার মরদেহ ফেলে রেখে চলে যান। পরে বিষয়টি জানানো হয় স্থানীয় স্বেচ্ছসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমকে। পরে সংগঠনের সদস্যরা এসে ওই ব্যক্তির সৎকার করেন।
এ বিষয়ে সিডিও-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক গাজী আল ইমরান বলেন, শুক্রবার সকালে আমাকে ফোনে জানানো হয়, বিধান চন্দ্র মণ্ডল বৃহস্পতিবার বিকেলে মারা গেলেও এখনো তার সৎকার হয়নি। পরে সংগঠনের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি বিধানের বাড়িতে তার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি যেখানে মারা গিয়েছিলেন মৃতদেহটি সেখানেই পড়ে ছিল। পরে স্থানীয় হিন্দু ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে বাড়ির পাশে একটি স্থানে তার মৃতদেহটি সমাধিস্থ করা হয়।
শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন বলেন, বিধানের লাশের সৎকার হচ্ছে না জানতে পেরে তিনি ও অধ্যক্ষ জাফরুল্লাহ বাবু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের অনুরোধ করেন। তারা কেউই রাজি না হওয়ায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিওর তিন মুসলিম যুবক তার সৎকার করেছেন।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুর আগে তিনি বলেছিলেন- তাকে আগুনে দাহ না করে সমাধি দিতে। তার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে মাটি খুঁড়ে সমাধি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কলেজছাত্র হাফিজ, মিলন ও জামাল বাদশা অসাম্প্রদায়িকতার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
আমারসংবাদ/জেআই