Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

সীমান্তে ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ক্ষতগ্রিস্ত

এম.এ খালেক, হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ)

জুন ১৬, ২০২১, ০৭:২০ এএম


সীমান্তে ভারতীয় বন্যহাতির তাণ্ডবে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি ক্ষতগ্রিস্ত

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী ভূবনকুড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বন্যহাতির আনাগোনা বেড়ে গেছে। হাতির আতঙ্কে সীমান্ত এলাকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কয়েক শত নারী ও পুরুষ। 

জানা যায়, গেলো ২৮ মে হালুয়াঘাট নালিতাবাড়ি সীমান্তে নালিতাবাড়ী উপজেলার ফেকামারী পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে হালুয়াঘাট উপজেলার কুমুরিয়া গ্রামের সুখেন ঘাগরার ছেলে অপূর্ব চাম্বু গং (৪৫) নিহত হন। 

এছাড়াও হালুয়াঘাট সীমান্তে ২০০৭ সালে হাতির আক্রমণে অন্তঃসত্ত্বা এক মা ও মেয়ে নিহতের ঘটনায় এখনো আঁৎকে ওঠে এই এলাকার মানুষ। 

গত কদিনে সীমান্তে বন্যহাতির তান্ডবে কৃষকের ফসল, বসতঘর ও সম্পদহানি বেড়েই চলেছে। গেল ১৩ জুন রোববার মধ্যরাতে সীমান্তবর্তী কড়ইতলী গ্রামের মোহর উদ্দিনের বাড়িতে তান্ডব চালায় বন্যহাতির দল। এতে তার টিনশেডের গোয়ালঘর ভেঙে যায়। শুধু তাই নয়, কড়ইতলী গড়ে উঠা বিনোদনের জন্য পার্কের সীমানা প্রাচীরের ক্ষতি করে বন্যহাতি। 

বন্যহাতিরা প্রায় প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ টি দল বেঁধে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড় থেকে নেমে আসে এবং মানুষের বাড়িঘর ও ফলবাগান তছনছ করে দেয়। বর্তমানে আম, কাঁঠাল, কলাসহ বিভিন্ন ফলের মৌসুম হওয়ায় হাতির আক্রমণ বেড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।  

উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের কড়ইতলী, ধোপাজুরি,বানাই চিরিঙ্গিপাড়া, কোঁচপাড়া, রঙ্গমপাড়া, গোবরাকুড়া এলাকায় হাতির আক্রমণ সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ির উপজেলার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রামেও  হাতির দল প্রতিনিয়ত তান্ডব চালাচ্ছে। ভারতের চেরেঙ্গপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় হাতির দল খাবার খুঁজতে বাংলাদেশের এসব এলাকায় ঢুকে পড়ছে। 

গ্রামে স্থানীয় যুবকরা মিলে স্ব-উদ্যোগে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন। ভূবনকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম সুরুজ মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগে পরিষদের পক্ষ থেকে মশাল জ্বালানোর জন্যে কেরোসিন ও ফটকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। 

তাছাড়াও রাতে পাহারার জন্য কিছু লোক দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই অপ্রতুল। এসব এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ নেই। প্রসাশনের পক্ষ থেকে আমি একাধিকবার সৌর বিদ্যুতের স্ট্রিট লাইট দেয়ার জন্যও বলেছি। এটি পাওয়া গেলে অন্তত অন্ধকার থাকতো না এবং হাতির দল এসব এলাকায় আসত না।

[media type="image" fid="128466" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

স্থানীয় কৃষক মোহর উদ্দিন বলেন, বর্তমানে কাঁঠাল ফলের মৌসুম হওয়ায় হাতির আক্রমণে গাছপালা ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ভারতীয় বন্য হাতীর দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করার বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসন অবগত আছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

আমারসংবাদ/এআই