Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বরগুনায় মানববন্ধন

বরগুনা প্রতিনিধি

জুন ১৭, ২০২১, ০৭:৩৫ এএম


১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বরগুনায় মানববন্ধন

বরগুনায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং শ্রমিকলীগের ১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সকাল ১০টায় বরগুনা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। 

এ কর্মসূচির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে মানববন্ধনে অংশ নেয় বরগুনা জেলা যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ। 

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-বরগুনা পৌরসভার মেয়র ও জেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাড. কামরুল আহসান মহারাজ, আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম সরোয়ার ফোরকান, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাব উদ্দিন সাবু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কেএম আব্দুর রশীদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আ. হালিম মোল্লা এবং আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-এর সমন্বয়কারী আরিফুর রহমান মারুফসহ জেলা যুবলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃবৃন্দ।  

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলতি বছর ২১ মে আমতলী পৌরসভার মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের ভাগ্নে আবুল কালাম আজাদকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় প্রকৃত আসামীদের আড়াল করে আমতলী পৌরসভার দুর্নীতিবাজ মেয়র মতিয়ার রহমানের হীনচক্রান্তে ঘটনার ২১ দিন পরে আমতলী থানায় একটি মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করা হয়। 

রাজনৈতিক প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এ মামলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমতলী পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক জিএম মুসা, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক জিএম ওসমানী হাসান এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং শ্রমিকলীগের ১৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। 

বক্তারা আরও বলেন, রাজনৈতিক আক্রোশ ও প্রতিহিংসার কারণে ষড়যন্ত্রমূলক এ মিথ্যে মামলার প্রতিবাদে ইতোমধ্যেই আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী। এ ঘটনায় সমালোচনার ঝড় বইছে এখন বরগুনার সর্বস্তরের সচেতন মহলেও। 

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য ও আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম সরোয়ার ফোরকান সাংবাদিকদের জানান, জাতীয় পার্টির আমলে আমতলীর জাতীয় পার্টির নেতা মতিউর রহমান তালুকদারের সাথে থেকে জাতীয়পার্টির পরিচয় দিয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির পাশাপাশি নানা অপকৌশলে কোটি টাকার মালিক হন মেয়র মতিয়ার রহমান। 

এরপর বিএনপি সরকার ক্ষমতায় এলে আমতলীর সেই মতিউর রহমান তালুকদার বিএনপিতে যোগ দিলে দুর্নীতিবাজ মেয়র মতিয়ার রহমানও বিএনপিতে যোগ দেন। এবং একই কৌশলে একই প্রক্রিয়ায় ঠিকাদারি ব্যবসায় নানা অনিয়ম দুর্নীতি আর অপকৌশলে শত কোটি টাকার মালিক হন। 

তিনি আরও জানান, এরপর একসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে একই প্রক্রিয়ায় মতিয়ার রহমান যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সেই একই প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের পরিচয় দিয়ে ঠিকাদারি ব্যবসার মাধ্যমে এখন সে হাজার কোটি টাকার মালিক। 

এখানেই শেষ নয়, হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে তিনি কালো টাকা বিছিয়ে সহজেই ছিনিয়ে নেন আমতলী পৌরসভার মেয়র পদটি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। আমতলী পৌরসভার এখন নিজেই মেয়র-নিজেই ঠিকাদার তিনি। অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া এখন আমতলী পৌরসভা। শ্রেফ অর্থের দাপটে নিবেদিতপ্রাণ অনেক ত্যাগী নেতাদের হটিয়ে মতিয়ার রহমান এখন আমতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক।   

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী, একজন দুর্নীতিবাজ মেয়র মো. মতিয়ার রহমানের সকল প্রকার ঘৃণ্যচক্রান্তের সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ এবং শ্রমিক লীগের ১৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যে ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারে দাবি জানান তিনি।

আমারসংবাদ/এআই