Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

শ্রীমঙ্গলে আরো ৩০০ গৃহহীন মানুষ পাচ্ছেন নতুন ঘর

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

জুন ১৮, ২০২১, ১১:১০ এএম


 শ্রীমঙ্গলে আরো ৩০০ গৃহহীন মানুষ পাচ্ছেন নতুন ঘর

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ২য় ধাপে গৃহহীনদের জন্য নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের আরো ৩০০টি ঘরের পাশে গাছ লাগিয়ে দিচ্ছেন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এই উপজেলায় আরো ৩০০ গৃহহীন অসহায় মানুষ পাচ্ছেন নতুন ঘর। ২য় ধাপে এরই মধ্যে১৬০টি নতুন ঘর  নির্মিত হয়েছে। 

আগামী ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে সুবিধা ভোগীদের কাছে ঘরগুলো তুলে দিবেন। এর আগে এই উপজেলায় ৩০০ মানুষকে মুজিব বর্ষে নতুন ঘর তুলে দেওয়া হয়েছিলো। 

আশ্রয়ন প্রকল্প ২ ঘুরে দেখা গেছে, পাহাড়ের উপরের খালি জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় ১৬০টি ঘর। প্রতিটি ঘরের চালের রঙ লাল, জানালা গুলো সবুজ, দেয়ালের রঙ সাদা। এই জায়গার অন্যপাশে আরো ১৪০টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে। ঘরগুলোর পাশে নির্মিত হচ্ছে একটি স্কুল ঘর, একটি মসজিদ ও একটি মন্দির। এই ঘরগুলোর চারপাশে স্বেচ্ছাসেবকরা বিভিন্ন জাতের গাছ লাগাচ্ছে। প্রায় প্রতিটি ঘরের সামনেই ৫টির উপরে গাছ লাগানো। টিলার উপরে চারদিকে সবুজে ঘেরা এই জায়গায় লাল টিনের চালগুলো বেশ সুন্দর রুপে ফুটে উঠেছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) প্রেমসাগর হাজরা জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ নিয়েছেন, উনার সাথে আমরা সবাই সামিল হতে চাই। এজন্য আমি উপজেলা পরিষদ ও ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এখানে গাছের চারা রোপন করেছি। অনেকেই কাজ করছেন। আমাদের দেশে এখনো অনেক লোক গৃহহীন। সরকারের এই কার্যক্রমে অসহায় মানুষ বেচে থাকার জন্য ঘর পাক, তারা যেন রাস্তায় রাস্থায় ঘুমাতে না হয়। তাহলেই আমাদের দেশের উন্নয়ন হবে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের কথা চিন্তা করে মুজিব বর্ষে অসহায় গৃহহীন মানুষের জন্য ঘর নির্মান করে উপহার দিচ্ছেন। আমাদের শ্রীমঙ্গলে প্রথম ধাপে আমরা ৩০০টি ঘর নির্মাণ করে ভুমিহীনদের কাছে তুলে দিয়েছিলাম। আমরা ২য় ধাপে আরো ৩০০টি ঘর পেয়েছি। এরই মধ্যে ১৬০টি ঘরের কাজ প্রায় শেষ। উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের মাজদিহি টিলার উপরের অবৈধভাবে দখল করা সরকারি জায়গা আমরা দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে আমরা এই জায়গায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ করেছি। 

আশ্রয়ন প্রকল্পের মাত্র দেড় কিলোমিটার এর ভিতরে ভৈরবগঞ্জ বাজার, মাধ্যমিক স্কুল রয়েছে। এক কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ, কমিউনিটি ক্লিনিক। ঘরের পাশাপাশি এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মসজিদ, একটি মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। 

এছাড়া বিদ্যুৎ, পানি, ইন্টারনেট, যোগাযোগ ও গ্রোথ সেন্টারসহ সবকিছুই থাকবে। এখানে পাহাড়ি এলাকায় তারা লেবু , আনারস ইত্যাদি ফসল চাষ করে নিজেরাই নিজেদের কর্মসংস্থান করতে পারবে। এখানে টিলার জায়গায় ঘর নির্মান করতে কোন টিলা কাটতেও হয় নি। সুন্দর পরিবেশে সবুজে ঘেরা জায়গায় খুব ভালোভাবেই বসবাস করতে পারবে নতুন বাসিন্দারা। 

তিনি আরও জানান, আমি শ্রীমঙ্গলের সবার কাছে আহবান করেছিলাম এই আশ্রয়ন প্রকল্পে গাছ লাগানোর জন্য। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তিরা এখানে কয়েক হাজার গাছ লাগিয়েছেন। ফলজ, বনজ ও ওষুধীগাছে এখন আশ্রয়ণ প্রকল্প দারুণ সুন্দর হয়ে উঠছে। আমরা প্রতিটি ঘরের পাশে ৫টি ফলের গাছ লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। 

আমারসংবাদ/কেএস