Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

রুহিয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতন 

রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি

জুন ২০, ২০২১, ১২:১০ পিএম


রুহিয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নির্যাতন 

ঠাকুরগাঁয়ের রুহিয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সুমন সেন (৩২) এর বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ১০ বছর পূর্বে ধনঞ্জয় সেন এর পুত্র সুমন সেন সাথে পূর্ণিমা রানী সেন এর পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর হইতে পূর্ণিমা রানীকে বাবার বাড়ি হইতে যৌতুকের টাকা জন্য চাপ দিতে থাকে সুমন সেন। পূর্ণিমা রানী টাকা আনিতে অস্বীকার করিলে ধনঞ্জয় রায় এর ছেলে সুমন সেন (৩২), সুমনের মা বেনু রানী সেন(৫০), প্রায় গৃহবধূ পূর্নিমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করিতে থাকে। 

এদিকে সুমন আবারো যৌতুকের বিনিময়ে রুহিয়া থানাধীন মন্ডলাদাম গ্রামের অগ্রায়ন রায়ের মেয়ে  নিপা রানী (১৬) কে ২য় বিয়ে করেন এবং তাকে নিয়ে সংসার করিতে থাকে। সুমনের পরিবার আবারো ৪ জুলাই ২০২১ইং তারিখে পূর্ণিমা রানীকে বাবার বাড়ি হইতে টাকা আনিতে চাপ সৃষ্টি করে। পূর্ণিমা টাকা আনিতে অস্বীকার করিলে সুমন তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে এলোপাথারী মারপিট করে শরীরে বিভিন্ন স্থানে জখম করে। পরে পূর্ণিমা রানী নিরুপায় হয়ে সুমন সেন সহ ৪জনের বিরুদ্ধে গত ৪ জুলাই ২০০০ সালেরনারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনীয় ২০০৩ ধারায় রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-৩।

এ ব্যাপারে পূর্ণিমা রানী সেন জানান, আমার স্বামী গোপনে ২য় বিয়ে করেছে যা আমি জানিনা। পরে ৬ মাসের গর্ভবর্তী অবস্থায় বাসায় নিয়ে আসে এবং আমার উপর আরো অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। সে আমার পেটের গর্ভেথাকা দুটি বাচ্চা ওষধ খাওয়াইয়ে নষ্ট করেছে।

এ বিষয় সুমন সেন এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে সে জানায় পূর্ণিমা'র সাথে আমি দীর্ঘ ১০বছর ধরে সংসার করে আসছি। কিন্তু আমাদের মধ্যে একটাই অশান্তি ছিল সে মা হতে পারবে না। আমি পূর্ণিমাকে নিয়ে অনেক ডাক্টারের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়েছে। 

এলাকাবাসী প্রফুল্ল রায় জানান, সালিস বৈঠকে মধ্যে তার প্রথম স্ত্রী পূর্ণিমা সুমনকে বিয়ের অনুমতি দিয়েছে তাই প্রথম স্ত্রীর বাচ্চা না হওয়ায় সুমন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি বলেন, সুমন প্রায়ই তার স্ত্রী পূর্ণিমকে মারধর করত এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক হয়েছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য ঠাকুর চন্দ্র সেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, পূর্ণিমা সালিশের বৈঠকে দ্বিতীয় বিয়ের জন্য অনুমতি দিয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই। 

রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় জানান, পূর্ণিমা রানীর মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমারসংবাদ/কেএস