Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

বেসিন আছে, নেই সাবান-পানি

মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি 

জুন ২৮, ২০২১, ০৮:১০ এএম


বেসিন আছে, নেই সাবান-পানি

করোনার সংক্রামণ রোধে মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। হাত ধোয়ার পানি থাকলেও নেই সাবান। এতে করে করোনা ভাইরাসে সংক্রামণ বাড়ার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কোন অফিস, হাসপাতলে ঢোকার পথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুঝুঁকি আছে, এই সতর্কবাণী অবশ্যই দৃশ্যমান স্থানে রাখতে হবে। প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই তিন ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে। এমন নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। করোনার বিস্তার ঠেকাতে জেলা প্রশাসনের বিধিনিষেধের অন্যতম বিধিনিষেধ ছিল এগুলো। 

সোববার (২৭ জুন) সকালে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স এর প্রবেশমুখেই বসানো হয়েছে নমুনা সংগ্রহের বুথ। পাশে দিয়ে মাস্ক পরা ছাড়াই লোকজন হাসপাতালে ভিতরে ঢুকেছে। হাসপাতালের ভেতরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলেও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানি থাকলেও নেই সাবান।

চিকিৎসা সেবা নিতে আসা নাজমুল হাসান বলেন, হাত ধোয়া তো দূরের কথা মানুষের মুখে মাস্ক তো নাই,  প্রথম দিকে সবকিছু সচল থাকলেও এখন আর কোনও গুরুত্ব নাই। সেখানে যে হাত ধুবো তাতে তো সাবান নেই। হাত ধুবো কীভাবে? তাই হাত না ধুয়েই প্রবেশ করছি। 

আছাদ নামে একজন বলেন, হাসপাতালে ভেতরে দেখলাম মাস্ক না পরে ঘুরে বেড়াচ্ছে অনেকেই। হাসপাতালে রোগী কম হলেও মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছে বেশিরভাগ মানুষ। মাস্ক না পরলে কেউ কিছু বলে না, আপনি শুধু আমাকে বললেন মুখে মাস্ক নাই কেন।

এছাড়া উপজেলা পরিষদে হাত ধোয়ার বেসিন স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পানি থাকলেও নেই সাবান। যার ফলে উপজেলা পরিষদে প্রবেশের সময় সাধারণ মানুষ হাত না ধুয়েই প্রবেশ করছেন। বেসিনের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে এসব ব্যবহার করা হয়নি। 

উপজেলা পরিষদ চত্বরে মোঃ ইমরান বলেন, করোনা প্রতিরোধে কিছুক্ষণ পরপর হাত ধোয়া কার্যকরী পদক্ষেপ, যা চিকিৎসকসহ সবাই বলছেন। মানুষের হাত ধোয়ার জন্য হাজার হাজার টাকা খরচ করে বেসিন বসানো হয়েছে শুধু মানুষকে দেখানোর জন্য। যদি তাই না হবে তাহলে মাঝে মধ্যেই বেসিনে সাবান থাকে না, আবার পানি থাকে না। 

এদিকে মেলান্দহ থানার সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকলেও নেই পানি ও সাবান। অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে বেসিন। বেসিনের মাঝে ধুলোবালি আর ময়লা জমে আছে, তদারকি না থাকার কারণে করোনা প্রতিরোধে এগুলো কোনো কাজেই আসছে না। জনসচেতনতার অভাবে জনসাধারণ ও বেসিন যেমন ব্যবহার করছেন না।

থানায় প্রবেশপথে আব্দুল সালাম বলেন, বেসিন লাগানো হয়েছে, সেখানে যে হাত ধুব, তেমন কিছু নেই। তাই হাত না ধুয়েই প্রবেশ করছি। বেসিনে পানি- সাবান নেই। যে কারণে মানুষ হাত ধুতে পারছে না।

মেলান্দহ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম বলেন, আমি জানি না সাবান-পানি নেই, আমাকে আগে কেউ বলে নাই। সাবান-পানির ব্যবস্থা করবো।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলুল হক বলেন, হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতাকর্মী আজ না থাকায় এই অবস্থা। তবে আমারা সাবান দিয়ে রাখি, কিন্তু বেসিনে সাবান দেওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই নিখোঁজ হয়ে যায়। তবে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ শাফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানলাম আমি মাত্র, আমি বেসিনে হাত ধোয়ার সাবানের ব্যবস্থা করতেছি।

আমারসংবাদ/কেএস