মো. জালাল উদ্দিন প্রামানিক, সাদুল্লাপুর
জুন ২৮, ২০২১, ০১:১৫ পিএম
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে প্রবেশের দুইটি রাস্তায় অল্প বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থাও নেই। এরমধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ছোট ও বড় গর্তের। রাস্তার গর্তে পড়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে করে জনগণ ও কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্য হাটে সময় মত এনে বিক্রি করতে না পারায় গুনতে হচ্ছে লোকসান। একাধিক বার এনিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও তবু দৃষ্টি নেই কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, জাতীয় মহাসড়ক ছাড়া তিনটি রাস্তা ধাপেরহাটের সাথে সংযুক্ত। রাস্তা গুলো হলো- ধাপেরহাট টু চতরা, ধাপেরহাট টু বকশিগঞ্জ হয়ে সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট টু আমবাগান হয়ে সাদুল্লাপুর গাইবান্ধা। তিনটি রাস্তার মধ্যে দুটি ধাপেরহাট টু বকশিগঞ্জ হয়ে সাদুল্লাপুর, ধাপেরহাট টু আমবাগান হয়ে সাদুল্লাপুর গাইবান্ধা রাস্তার ধাপেরহাটে প্রবেশের রাস্তা বেহাল দশায় রয়েছে।
সচেতন মহল বলছে, দুটি রাস্তার পাশে অপরিকল্পিতভাবে বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতে চলাচলে অনুপযোগী হয়ে উঠে। এছাড়া বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। হাটে সময় মত পণ্য না নিয়ে আসতে পারায় লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।
উল্লেখ্য, কৃষি অধিষ্ঠিত এলাকার কৃষকের উৎপাদিত সবজী ও অন্যান্য কৃষি পণ্য প্রতিদিন বিক্রির একমাত্র হাট ধাপেরহাট। সব ধরনের সবজী ও কৃষি পণ্য সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে কেনার জন্য দূর-দুরান্তের ক্রেতারা ধাপেরহাটে আসে।
আর কৃষকরা তাদের কষ্টার্জিত এসকল পণ্যর ন্যায্য মূল্য পাওয়া আসায় হাটে নিয়ে আসে। এখান থেকে প্রতিদিন হাটবার ছাড়া পটল, করলা, শসা, কাঁচা মরিচ, পেঁপে বরবটি, ঢেঁরশ, আলু কচু, বেগুন, সবজী ও বিভিন্ন ধরনের শাক নিয়ে ১৫/২০টি ও সোমবার বৃহস্পতিবার হাট বারে ৩০/৩৫ ট্রাক লোড হয়ে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায়।
এখানকার কৃষকের উৎপাদিত শাক-সবজী ও অন্যান্য পণ্যের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চাহিদা থাকায় ও ধাপেরহাট জাতীয় মহাসড়কের দুই প্রান্তে হওয়ায় পরিবহন খরচ কম হওয়ায় পাইকারের আনাগোনা বেশি। প্রতি বছর হাট ইজারা দিয়ে সাদুল্লাপুরের সব হাটের মধ্যে এখান থেকে বেশী রাজস্ব আদায় করে সরকার।
আমারসংবাদ/এআই