Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পরিমাণ মতো ও মানসম্মত খাবার পাচ্ছে না রোগীরা

বি এম শহীদুল্লাহ, শরীয়তপুর

জুলাই ৭, ২০২১, ০৭:০৫ এএম


শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পরিমাণ মতো ও মানসম্মত খাবার পাচ্ছে না রোগীরা

শরীয়তপুর সদর ১০০ শয্যা হাসপাতালের রোগীদের খাবার (পথ্য) বাবদ প্রতিদিন রোগীর মাথাপিছু বরাদ্দ ১২৫ টাকা আর করোনা রোগীর জন্য ৩০০ টাকা। এ টাকায় সকালে নাশতা ও দুপুর-রাতে দু'বারের খাবার সরবরাহ করার কথা। 

কিন্তু নির্ধারিত পরিমাণ ও মানসম্মত খাবার পাচ্ছে না রোগীরা। আর করোনা রোগীদের জন্য আলাদা বরাদ্দ থাকলেও তাদের দেওয়া হয় সাধারণ রোগীদের খাবার। সরকারি বরাদ্দে যে খাবার সরবরাহ করার তালিকা রয়েছে, সেসব খাবার কখনো পূরণ না করে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এখানকার রোগীরা।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, সরকার নির্ধারিত বরাদ্দে প্রতিটি রোগীর জন্য সকালে ও দুপুরে যে পরিমাণের খাবার সরবরাহ করার কথা, রোগীরা সে পরিমাণ খাবার পাচ্ছেন না। এখানে পরিবেশন করা সকল খাবারই নিম্নমানের। 

হাসপাতালে মাছ, মুরগী ও খাসির গোসত থাকার কথা থাকলেও সকালে দেওয়া হচ্ছে একটি ফার্মের মুরগির ডিম একটি কলা ও এক পিস রুটি দুপুর ও রাতের জন্য প্রতিদিন পাঙ্গাস মাছ ও মাঝেমধ্যে পোল্ট্রি মুরগি দেয়া হচ্ছে। 

মঙ্গলবার (৬ জুলাই ) দুপরে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের রান্না ঘরের দায়িত্বে থাকা মোঃ খলিল মুন্সির সাথে কথা হয়। তিনি জানান, পাঙ্গাস মাছ রান্না হয়, মাঝেমধ্যে পল্টি মুরগি রান্না করা হয়। করণ রোগী এবং অন্য সকল রোগীদের জন্য একই খাবার তৈরি করা হয়।

হাসপাতালে ভর্তি রোগী চর পালং এলাকার আব্দুর রহিম জানান, খাবার যা দেয় নরমাল খাবার দেয় সকালে এক পিস রুটি একটা ফার্মের মুরগির ডিম একটা কলা মাঝেমধ্যে পচা ডিম পড়ে। আর দুপুরে পাঙ্গাস মাছ মাঝে মধ্যে দু'একদিন মুরগি অনেক ছোট ছোট পিস

এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সুমন কুমার পোদ্দার জানান, আমাদের হাসপাতাল হলো ১০০ শয্যা হাসপাতাল এবং প্রতিটি রোগের খাবার জন্য ১২৫ টাকা করে ধরা আছে আর যারা করোনা পজিটিভ তাদের খাবার জন্য ধরা আছে ৩০০ টাকা করে। আমাদের হাসপাতালে গড়ে ১৩০ থেকে ১৫০ জন রোগী ভর্তি থাকে। 

প্রতিজন ১২৫ টাকা করে ধরা আছে একশ জনের জন্য কিন্তু রোগী ভর্তি থাকে ১৫০ জনের মত প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন এর মত বেশি থাকে, তাই ১২৫টাকা করে যে ধরা থাকে রোগীদের পুরোপুরি খাবারটা দেওয়া যাচ্ছে না কারণ এই টাকার উপর সবাইকে খাবার খাওয়ানো হয়। 

তারপরও আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, যাতে এর ভিতরে খাবারের মান ভালো হয়। 

করোনা রোগীদের খাবারের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দু-একদিনের মধ্যে আমরা করোনা রোগীর খাবার অন্য জায়গা থেকে তৈরি করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করব।

আমারসংবাদ/এআই