Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

স্বামীকে ফেলে প্রেমের টানে ঘর ছাড়েন সেই কিশোরী

সাদুল্লাপুর প্রতিনিধি

জুলাই ৭, ২০২১, ০৯:৫৫ এএম


স্বামীকে ফেলে প্রেমের টানে ঘর ছাড়েন সেই কিশোরী

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের সেই কিশোরী নিখোঁজ হয়নি। প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছেন। পুলিশ সেই কিশোরীকে নারায়ণগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে। গত ৩০ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ওই কিশোরীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।

পরে স্বামী, আত্মীয়-স্বজন ও সম্ভব্য জায়গায় খুঁজে না পাওয়ায় সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে ২ জুলাই মেয়েটি বাবা ও শ্বশুর পৃথকভাবে দুটি জিডি করেন।

জিডি সূত্রে জানা যায় যে, মেয়েটি ৩০ জুন বিদ্যালয়ে এ্যাসাইনমেন্টের খাতা জমা দেয়ার কথা বলে সকালে বেড়িয়ে যায়। উদ্ধারের পর জানা গেলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কের জেরেই মেয়েটি ঘর ছাড়ে। 

নতুন ঘর বাঁধার আশায় স্কুলের এ্যাসাইনমেন্টের খাতা জমা দেয়ার অযুহাতে অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ৩০ জুন পালিয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার বাবুরাইল মাষ্টার পাড়া গ্রামে প্রথম স্বামীকে ফেলে চলে যায় মেয়েটি। পালিয়ে যাওয়া মেয়েটি সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটের বকশিগঞ্জের বড় ছত্রগাছা গ্রামের জৈনিক ব্যক্তির।

জানা যায় যে, গত তিন বছর পূর্বে ১৬ বছরের স্কুল পড়ুয়া মেয়েটির বাল্য বিয়ে হয় উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের গংগা নারায়ণপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান ওরফে বকুর সরকারের ছেলে বিপুলে সরকারের সাথে।

বিয়ের পর থেকে স্কুল পড়ুয়া মেয়েটি স্বামীর বাড়িতে না গিয়ে তার বাবার বাড়ি বড়ছত্রগাছা থেকেই স্কুলে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সে ধাপেরহাটের বকশিগঞ্জের স্থানীয় একটি ঐতিহ্যবাহি বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে, মেয়েটি বিয়ের পূর্বে মেয়েটি স্থানীয় এক যুবকের হাত ধরে পালিয়ে গেল অভিভাবকরা তাকে উদ্ধার করে বিপুল এর সঙ্গে বিয়ে দেয়। গেলো ২ জুলাই ৩৭ নং সাধারণ ডায়েরির (জিডি) পর ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক সেরাজুল হকের নেতৃত্বে চৌকস একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মেয়েটির অবস্থান নির্ণয় করে।

অবস্থান নির্ণয়ের পর এসআই শহিদুল ইসলাম, এএসআই আজিজুর রহমান সঙ্গীও ফোর্স মাইদুল ইসলাম সহ তিন সদস্যের একটি চৌকস টিম মেয়েটির বাবা, চাচা ও চাচীকে সঙ্গে নিয়ে নারায়ণঞ্জের ফতুল্লা থানায় পৌঁছে। 

সেখানকার থানা পুলিশের সহযোগিতায় সায়েম (১৬) এর বাড়ি থেকে ৬ জুলাই মেয়েটিকে উদ্ধার করে।  উদ্ধার হওয়া মেয়েটিকে ৭ জুলাই রাতে ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে থেকে বাবা, চাচা, আত্মীয় ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে বাবার জিম্মায় বুঝিয়ে দেয়। 

এসময় ধাপেরহাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক সেরাজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, সায়েম (১৬) এর সাথে মেয়েটির সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়। পরিচয়ের রেশ ধরে সায়েম প্রলোভন দেখিয়ে মেয়েটির সাথে প্রেমের ফাঁদ পাতে। মেয়েটি তার সেই পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে কাউকে কিছু না জানিয়ে নারায়ণগঞ্জে চলে যায়। আমরা তাকে উদ্ধার করছি। মেয়েটিকে সময়মত উদ্ধার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।

আমারসংবাদ/এআই