Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

চকরিয়ায় চাঁদা না পেয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি 

জুলাই ৯, ২০২১, ০৩:১০ পিএম


চকরিয়ায় চাঁদা না পেয়ে বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর

কক্সবাজার জেলার চকোরিয়া থানার লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের জিদ্দাবাজারের কাশেম ম্যানশনে চাঁদা না পেয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায় সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় কাশেম ম্যানশনের মালিক আবুল কাশেম জানান, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী ওসমান কয়েকদিন ধরে আমার কাছে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করে আসছে। আমি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে বেশ কয়েকবার আমাকে মারধরের হুমকি দেয়। 

এ বিষয়ে আমি কয়েকদিন আগে চকরিয়া থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করি। সাধারণ ডাইরি নং-১১০৯। এছাড়াও আমি স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বীকে বিষয়টি জানিয়ে রাখি।

হঠাৎ করে শুক্রবার (৯ জুলাই) জুমার নামাজের পর তার বাহিনীর ঝন্টু এবং হুমায়ন সহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র, রাম দা, চাপাতী নিয়ে এসে আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তারা আমাকে অকাথ্য ভাষায় গালাগালি করে আমার  বাড়ির দিকে গুলি ছুঁড়ে। আমি প্রাণে বাঁচতে দৌঁড়ে  বাড়ির ভিতর পালিয়ে যাই। এরপর সন্ত্রাসীরা এক পর্যায়ে  বাড়ির থাই গ্লাসগুলোতে গুলি ও ইট পাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর চালায়।

এছাড়া আমার বাড়ির পাশে ময়লায় ডাষ্টবিনের ম্যানুয়েলের কাজ চলতেছিলো। সেখানে ম্যানুয়েলটি ভেঙে চুরমার করে ফেলে। তখন কাজ করা শ্রমিকদের মারধর করে টাকা পাঠিয়ে দিতে বলেন।

তখন আমি চকরিয়া থানায় ফোন দিয়ে জানালে সাথে সাথে থানা থেকে পুলিশ আসলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে চকরিয়া থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই ওসমান তার বাহিনী নিয়ে বিভিন্নভাবে চাঁদা দাবি করে আসতেছিলো। বেশ কয়েকবার আবুল কাশেম কে মারধরও করতে আসে।

এছাড়া তারা মাদক ব্যবসায়ী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। কিছুদিন আগেও হুমায়ন জেল থেকে জামিনে বের হয়ে এসেছে। ঝন্টু এবং ওসমানের নামে বেশ কয়েকটি মামলা আছে। তারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) জানান, আজকের বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। ঘটনার পরপর আমাদের ফোন দিয়ে জানালে আমরা দ্রুত সেখানে পুলিশ পাঠালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারিনি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

আমারসংবাদ/কেএস