Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

লকডাউন: বরিশালের অলিগলি-মহাসড়কে বেড়েছে জনসমাগম

জহির খান, বরিশাল

জুলাই ১০, ২০২১, ১২:৫৫ পিএম


লকডাউন: বরিশালের অলিগলি-মহাসড়কে বেড়েছে জনসমাগম

মরণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে চলমান কঠোর লকডাউনের দশম দিন বরিশাল নগরীর অলিগলিসহ মহাসড়কগুলোতে আবারও বেড়েছে যানবাহন এবং মানুষের চলাচল। পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে প্রথম দিকে কড়াকড়ি থাকলেও এখন অনেকটা শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। তবে অব্যাহত রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল কার্যক্রম। 

অন্যদিকে লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে নগরীসহ জেলার সকল উপজেলায় প্রতিনিয়িত একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসন। 

এছাড়া সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে গত ১ জুলাই থেকে প্রতিদিন দুবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মোটর শোভাযাত্রা কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। লকডাউনের দশম দিন শনিবার সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে অনেক মানুষ এবং যানবাহন দেখা গেছে।

রিকশা, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল এবং ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী যান চলাচল করছে কোনো যাচাই ছাড়াই। সকালের দিকে নগরীর বাজার-ঘাটগুলোতে ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাজারগুলো অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়।

এছাড়া লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা হচ্ছে। গত কয়েকদিনে বরিশাল নগরীতে করোণা সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। যদিও লকডাউন এবং স্বাস্থ্য বিধি বাস্তবায়নে নগরীতে একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
অযথা কেউ রাস্তায় বের হলেই তাকে আইনের আওতায় আনছে তারা।

এদিকে বরিশাল নগরীতে টিসিবি পণ্য বিক্রিতে হতদরিদ্রদের অতিরিক্ত ভিড় ঠেকাতে কয়েকটি ডিলার পয়েন্টে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

এসময় সামাজিক দূরত্ব বজায় না থাকলে সংশ্লিষ্ট টিসিবি ডিলারের লাইসেন্স বাতিলের হুশিয়ারি দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাভেদ হোসেন চৌধুরী। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাওয়া সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত গভীর রাতে নগরীতে ঢুকতে দেখা যায় দূরপাল্লা থেকে আসা যাত্রীবাহি মাইক্রোবাস। 

আবার গত দুইদিন ধরে রাত ১০টার পর থেকে বরিশাল নথুল্লাবাদ ও গড়িয়ারপাড়সহ বেশ কয়েকটি স্থান থেকে মাইক্রোবাসে মাওয়া ফেরিঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রী বহন করতেও দেখা গেছে। 

একাধিক মাইকোবাস চালকরা জানিয়েছেন, তারা বরিশাল নগরী থেকে চেকপোস্টে থাকা পুলিশ সদস্যদের গাড়ি প্রতি ৫’শ টাকা করে দিয়ে শহর ত্যাগ করেন। 

তাদের ভাষ্য, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) চেকপোস্টে থাকা পুলিশ সদস্যরা নগরীসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে দিনের বেলায় কঠোর অবস্থানে থাকেন। কিন্তু রাতেই বেলায় তাদের ভূমিকা বাণিজ্যিক। 

বরিশাল-মাওয়া রুটের মাইক্রোবাস চালক তানভীর ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশাল থেকে মাওয়া যেতে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও রামপট্টি নামকস্থানে মেট্রোপলিটন পুলিশের দুটি চেকপোস্ট। রাতে যাত্রী নিয়ে গাড়ি ছাড়লে মেট্রোপলিটন পুলিশের নথুল্লাবাদ চেকপোস্টে ৫’শ টাকা দিলেই ছেড়ে দেয়। 

পরে বাবুগঞ্জ উপজেলার নতুনহাট নামকস্থানে জেলা পুলিশের চেকপোস্ট সেটিয়ে একইভাবে অতিক্রম করা যায়। কিন্তু এরপরের চেকপোস্টে গেলেই পড়তে হয় বিপাকে। ইচলাদি টোলপ্লাজা সংলগ্ন উজিরপুর থানা পুলিশের চেকপোস্ট থেকে হয়তো গাড়ি আটক, না হয় বরিশালের দিকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। 

আমারসংবাদ/এআই