Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

জুলাই ১১, ২০২১, ০৬:৩০ এএম


নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক

নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিপর্যস্ত নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়ন। প্রতিদিন বামনীয়া নদীর ভাঙনে পড়ে ঘর-বাড়ি হারাচ্ছে শতশত পরিবার। 

এরমধ্যে স্থানীয় ও জাতীয় প্রিন্ট মিডিয়া সহ বিভিন্ন মিডিয়ায় নদি ভাঙনের প্রতিবেদন দেখে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খুরশিদ আলম খান।

শনিবার (১০ জুলাই) বিকেল ৪ ঘটিকায় জেলা প্রশাসক খুরশিদ আলম খান চর এলাহী নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শণ করে বলেন, নদী ভাঙন রোধে আমরা নতুন যে বেড়িবাঁধ করেছি আশা করছি জোয়ারের পানি ভেতরে আর প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়াও আরো উন্নত ব্যবস্থা নিতে মন্ত্রী মহোদয়ের সাথে আলোচনা করার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক খুরশিদ আলম খান।

এসময় নদী ভাঙনে যারা ঘরবাড়ী হারিয়েছেন তাদের মধ্য থেকে ৬০ ও প্রধানমন্ত্রীর উপহার নতুন ঘর পাওয়া ২৫টি সর্বমোট ৮৫টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।

স্থানীয়দের দাবী, চর এলাহীতে টেকসই কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় ইতিমধ্যে এই ইউনিয়নটির বেশকিছু এলাকা নদী গর্বে বিলীন হয়ে গেছে। রাক্ষসী নদী কেড়ে নিয়েছে এখানকার হাজার হাজার একর ফসলী জমি, কেড়ে নিয়েছে শতশত মাছের ঘের, নদীতে হারিয়ে গেছে স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট সহ অসংখ্য বাড়ি-ঘর। 

চর এলাহী ইউনিয়ন বাংলাদেশের দু'জন প্রভাবশালী মন্ত্রীর এলাকা হলেও এখানে নদী ভাঙন প্রতিরোধে তেমন কোনো জোরালো ভূমিকা নেয়নি কেউই। এখানকার মানুষ তাদের ভোটে নির্বাচিত করেছেন ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী মরহুম মওদুদ আহমদকে। 

কিন্তু তারা কেউ-এই এলাকার নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ইউনিয়নটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদী গর্বে। 

স্থানীয়দের দাবী, অতিদ্রুত যদি সরকার চর এলাহী নদী ভাঙন প্রতিরোধে টেকসই কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে যেকোনো সময় বাংলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে চর এলাহী নামক ইউনিয়নটি।

পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন-কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান, উপ পরিচালক স্থানীয় সরকার মোহাম্মদ আবু ইউসুফ প্রমূখ।

আমারসংবাদ/এআই