কোনাবাড়ি প্রতিনিধি
জুলাই ১৪, ২০২১, ০৮:৫৫ এএম
গাজীপুরে তিন বছরের পাওনা বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের দাবিতে বুধবার (১৪ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে আবারো কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছে স্টাইল ক্র্যাফ্ট পোশাক কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা ঢাকা-গাজীপুর সড়ক অবরাধ করছে।
শ্রমিকরা জানায়, গাজীপুর মহানগরীর বাংলাদশ ধান গবষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) সামনে লক্ষীপুরা এলাকা স্টাইল ক্র্যাফ্ট পোশাক কারখানায় প্রায় সাড়ে ৭শ’ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রায় ৫ হাজার শ্রমিক চলতি বছরের মার্চ, মে ও জুন মাসের বেতন পাচ্ছে না।
এছাড়া গত সেপ্টম্বরের পূর্ণ বেতন ভাতা সহ ২০১৯ সালর ডিসম্বের, ২০২০ সালর মার্চ ও আগস্ট মাসের শতকরা ৫০ ভাগ, অক্টাবর মাসের ৩৫ ভাগ, নভেম্বর মাসের ১৫ ভাগ বেতন পাওনা রয়েছে।
এছাড়াও কারখানার কর্মচারীরা ইনক্রিমট সহ তাদর চার বছরের বাৎসরিক ছুটির ও ২ বছরর ঈদবোনাসের টাকা পাওনা রয়েছে।
তারা বেশ কিছুদিন ধরে এসব পাওনা পরিশোধের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিল। কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদর পাওনা পরিশোধের একাধিকবার তারিখ ঘোষণা করলও তা পরিশোধের করেনি।
সর্বশষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদর পাওনা গত মার্চ মাসের বকেয়া বেতন ৭ জুলাই এবং মে ও জুন মাসের বকেয়া বেতন ১৫ জুলাই ও ঈদবোনাস ১৮ জুলাই পরিশোধেরর আশ্বাস দিয়ে তারিখ ধার্য্য করে ঘাষণা দেয়। কি মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৭ জুলাই কারখানার কর্মকর্তা-কর্মচারীদর পাওনা পরিশোধ না কর তিন মাসের বোকেয়া পাওনা একত্রে ১৫ জুলাই পরিশোধের ঘোষণা দেয়। এত স্টাফদের মাঝে অস্তোষ ছড়িয়ে পড়ে।
বিক্ষুব্ধ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পাওনাদি পরিশোধের দাবিতে গত ৬ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মবিরতি করে আসছ। তারা গত ৮ জুলাই সড়ক অবরোধ করে। এক পর্যায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদর আন্দোলনের মুখ্য বিষয় তাদের এক মাসের বেতন ভাতা মঙ্গলবার এবং অপর দুই মাসের পাওনাদি ১৫ জুলাই পরিশোধের আশ্বাস দিয়ে তারিখ ধার্য্য করে ঘোষণা দেয়।
সর্বশেষ ঘোষণানুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন ভাতার জন্য গত মঙ্গলবার সকালে কারখানার গেইট আসলে তাদের পাওনাদি পরিশোধ অপারগতা প্রকাশ করে কারখানার মালিক। এত তারা বিক্ষুব্ধ হয় উঠে। এসময় তারা প্রতিশ্রতি অনুযায়ী পাওনাদি পরিশাধর দাবী জানিয়ে বিক্ষাভ করতে থাক।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের ইন্সপক্টর সমীর চদ্র সূত্রধর ও স্থানীয়রা জানান, স্টাইল ক্র্যাফ্ট পাশাক কারখানার শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আজও বকেয়া পাওনা পরিশোধের জন্য আন্দোলন করছে। কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা (অফিস স্টাফ) কাজ যোগ না দিয় কর্মবিরতি শুরু করে।
আমারসংবাদ/এআই