Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

শ্রীবরদীতে মুখে গামছা বেধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি

জুলাই ১৪, ২০২১, ১০:৫৫ এএম


শ্রীবরদীতে মুখে গামছা বেধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ

শেরপুরের শ্রীবরদীতে ২৮ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার তাতিহাটী ইউনিয়নের উত্তর ঘোনাপাড়া গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। নির্যাতিত স্বামী ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করে স্ত্রী নিয়ে থাকেন। দুটি শিশু সন্তান নিয়ে উত্তরঘোনাপাড়া গ্রামের বাড়িতে বসবাস করেন ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ। 

নির্যাতিত গৃহবধূ বাড়িতে শিশু সন্তান নিয়ে একা থাকায় দীর্ঘ দিন যাবত রাণীশিমূল ইউনিয়নের বাঘহাতা দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিন ওরফে জসি হাজীর ছেলে মনিমুক্তা ওরফে মনির (৩৮) উত্ত্যক্ত করে আসছে। 

নির্যাতিনের শিকার ওই গৃহবধূ বলেন, ঈদে গরু বিক্রির করার জন্য আমার পিতা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ সুযোগে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাত অনুমান ০২টার দিকে মনিমুক্তা ওরফে মনির আমার বাড়িতে এসে বসত ঘরের দরজার বান কেটে ঘরে প্রবেশ করে। 

পরে ঘুমন্ত অবস্থায় আমার মুখ গামছা বেধে আমার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে আমার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় রাতেই স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা মেম্বার ও অন্যান্য লোকজন বৈঠকের কথা বলে আমাদের বসত বাড়ির উঠানে বসে। স্থানীয়দের অভিযোগ মনিমুক্তা ওরফে মনির তার বড় ভাই ও ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় বৈঠক থেকে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে তাতিহাটী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে আন্ডা বলেন, ঘটনা শুনে আমি সেখানে গিয়েছিলাম। বৈঠকের এক পর্যায়ে ছেলে শিকার করেছে সে ঘটনার সাথে জড়িত। বৈঠক চলাকালীন সময়ে একজনের সাথে কথা বলতে চেয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আমারসংবাদ/এআই