Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

বর্ষায় বেহাল সড়ক

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

জুলাই ১৪, ২০২১, ০৩:২০ পিএম


বর্ষায় বেহাল সড়ক

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার কচা নদী সংলগ্ন পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের এলজিইডি সড়কটি সুপার সাইক্লোন সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার দীর্ঘ ১৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও সংস্কার হয়নি। এক সময়ের কালো পিচের এই সড়কটি বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে একাকার থাকায় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। 

শুধু বর্ষাকালই নয়, শুকনো মৌসুমেও ধূলোবালিতে একাকার থাকে সড়কটি। বিভিন্ন সময়ের জলোচ্ছাসে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর প্রতি বছর জনপ্রতিনিধিদের আশ্বাসের মাঝেই কেটে গেছে ১৩টি বছর।

জানা যায়, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুস সোবাহান জীবিত থাকাকালীন তার দতারকিতে দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ আগে তার নিজ এলাকা বালিপাড়া বাজারের সাথে সংযোগ সড়ক সরদার বাড়ির মোড় থেকে ছোরের খালের পুল পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কার্পেটিং সড়ক নির্মান করা হয়। আর এটিই বালিপাড়া ইউনিয়নের সর্ব প্রথম কার্পেটিং সড়ক। এই সড়কটি দিয়ে পূর্ব চরবলেশ্বর গ্রামের অসংখ্য শিক্ষার্থীদের স্কুল, কলেজ, মাদরাসায় যেতে হয়। 

স্থানীয় বাসিন্দাদের নিকটস্থ্য বালিপাড়া বাজারে কেনাবেচার জন্যও এই সড়কটি দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এমনকি এখানে দক্ষিনাঞ্চলের প্রথম সারির একটি বেসরকারি এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে যার অধিকাংশ কর্মি ও গ্রাহকদের চলাচলের জন্য বিকল্প পার্শ্ববর্তী ইট সোলিংসড়কটির অবস্থা দীর্ঘ বছর ধরে বেহাল থাকায় এই সড়কটিই তাদের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। কিন্তু ২০০৭ সালের প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সিডরের জলোচ্ছাসে কচা নদী সংলগ্ন এই সড়কটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরপর আইলা, আম্ফান সহ বিভিন্ন সময়ে জলোচ্ছাসে সড়কটির উপর দিয়ে পানি উপচে পড়ে বিভিন্ন জায়গায় ডাঙ্গার মত সৃষ্টি হয়েছে। 

বর্তমানে পুরো সড়কটির কোথাও কালোপিচের আস্তর নেই। ইট খোয়া, বালি ধূয়ে গিয়ে কাদা পানিতে একাকার হয়ে যাওয়ায় সড়কটি দিয়ে চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিবছর বর্ষার সময় স্থানীয় যুবকরা সেচ্ছাশ্রমে কোনমতে ইট বালু ফেলে সড়কটি দিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে থাকে। আবার শুকনো মৌসুমে ধুলোবালিতে একাকার ধাকে সড়কটি। 

এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে বারবার জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে আসলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাই দুর্দশা লাঘবে এলাকাবাসী সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন মোল্লা এ ব্যাপারে জানান, সত্যিই এই সড়কটির জন্য আমরা চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছি। যানবাহনে করে মালামাল আনা নেয়াতো দুরের কথা নিজেদের হাটাচলা করাই দুস্কর হয়ে পড়েছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মো: শাহজাহান হাওলাদার জানান, এই সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় একালাবাসী চরম দূর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। তাই দ্রুত সড়কটি সংস্কার করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলা চেয়ারম্যান এম মতিউর রহমান বলেন, সিডর, আইলা, আম্ফান, বুলবুল ও ইয়াস সহ বিভিন্ন সময়ের জলোচ্ছাসে এই সড়কটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সড়কটি দিয়ে বর্তমানে জনসাধারণের চলাচল করতে খুব কস্ট হচ্ছে। তাই সড়কটি যাতে দ্রুত সংস্কার হয় সেজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য সহ সংশ্লিস্ট দপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে।

আমারসংবাদ/কেএস