Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

২৭ মণ ওজনের ‘হিরো আলম’ বিক্রি হবে ১৫ লাখ টাকায়

শেখ শাহীন, কেশবপুর(যশোর)

জুলাই ১৫, ২০২১, ১১:৫৫ এএম


২৭ মণ ওজনের ‘হিরো আলম’ বিক্রি হবে ১৫ লাখ টাকায়

মানুষকে বিনোদন দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তিত্ব হিরো আলম। সারাদেশেই তিনি আলোচিত নাম। সেই হিরো আলমের নামেই রাখা হয়েছে মোষ মার্কা জাতের ২৭ মণ ওজনের ষাঁড়ের নাম।

কেশবপুর উপজেলা সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের মেহেরপুর গ্রামের রমজান মোড়লের ছেলে মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের একটি গরু। এই হিরো আলমের বয়স প্রায় চার বছর। লম্বায় সাড়ে আট ফিট। উচ্চতা পাঁচ ফিট সাত ইঞ্চি।

কেশবপুর শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের মেহেরপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, তাঁর মেয়ে মিথিলা আক্তার পলি টিনের চালাঘরে রাখা হিরো আলমকে পরম যত্নে লালন পালন করছেন। 

হিরো আলমকে প্রতিদিন তিনবেলা ভূষি, খৈল, ভুট্টা ও ঘাস খাওয়ানোর পাশাপাশি কমলা লেবু, মাল্টা, পাকা কলা, বাদাম এবং পাউরুটিও খেতে দেয়া হয়। প্রতিদিন তাকে খাওয়ানোর জন্য প্রায় ৬০০ টাকা খরচ হয়। ষাঁড়টি তিনি প্রায় ৪ বছর আগে সাতক্ষীরা থেকে দুই লাখ টাকায় কেনেন। এরপর ষাঁড়টির নামকরণ করা হয় আলোচনার শীর্ষে থাকা হিরো আলমের নামে। এমন নাম রাখায় লোকজন প্রতিদিনই ষাঁড়টি দেখতে আসেন। ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।

এদিকে স্থানীয় মোস্তফা কামাল জানান, হিরো আলমের মতো এত বড় গরু আমাদের এই এলাকায় আরেকটিও নাই। হিরো আলমকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা হয়েছে। এত বড় গরু দেখে আমরাও অনুপ্রাণিত হচ্ছি। ভবিষ্যতে আমরা চেষ্টা করবো গরুর খামার করতে।

আজিজুর রহমান বলেন, গরু লালন-পালন করতে আমার খুব ভালো লাগে। পরিবারের সকলে মিলেই গরুর সেবাযত্ন করা হয়। হিরো আলম নামের গরুটি এ উপজেলার সবচেয়ে বড়। তাকে এবার বিক্রি করা হবে। আমরা ষাঁড়টির দাম চাচ্ছি ১৫ লাখ টাকা। 

লকডাউনের কারণে গরুটি বিক্রি করা নিয়ে কিছুটা চিন্তিত তাঁরা। কোনো পশু হাটে তাকে এখনও নিয়ে যাওয়া হয়নি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এতো বড় গরু হাটে নেওয়া সম্ভব না বিধায় বাড়ি থেকেই কোরবানির জন্য ক্রেতা বা ব্যবসায়ীর কাছে গরুটি বিক্রি করতে ইচ্ছুক বলে জানান তিনি। 

স্থানীয় প্রাণি চিকিৎসক আব্দুর রহিম বলেন, তিনি ছোট অবস্থা থেকেই গরুটির চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। ‘নিয়মিত ষাঁড়টিকে দেখাশোনা করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন আজিজুর রহমান। হিরো আলমের উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৮ ফুট। ওজন প্রায় ২৭ মণ।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার প্রকাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘লকডাউনের কারণে কোরবানির পশু বিক্রি ও ন্যায্য মূল্য নিয়ে খামারিরা চিন্তিত রয়েছেন। আমরা অনলাইনে পশু বিক্রির জন্য অ্যাপস তৈরি করেছি। ওই অ্যাপস-এর মাধ্যমে যে কেউ কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারবেন। হিরো আলম বিক্রিতে আমরাও তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করব’।

আমারসংবাদ/এআই