Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

সাভারে ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট

সাভার প্রতিনিধি 

জুলাই ১৬, ২০২১, ০৮:৩০ এএম


সাভারে ৩৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট

লকডাউন শিথিলের ২য় দিন শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে তীব্র যানজটের এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকেই মহাসড়কে দেখা যায় সাভারে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে তীব্র যানজটের এমন চিত্র। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছে রাজধানীতে আশা কুরবানির পশু ট্রাকসহ ছোট-বড় সব পরিবহন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে লাখো মানুষ।  

রাজাধানীতে প্রবেশের তিন পথ ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের তীব্র যানজটের দেখা দিয়েছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি চরমে। রাজধানী ছাড়িয়ে সাভারের সীমানায় পা রাখতেই পথে পথে ভোগান্তি আর তীব্র যানজটের কবলে পড়েতে হচ্ছে যাত্রীদের। 

গাবতলী থেকে সাভার পৌঁছাতে সময় লাগছে দুই থেকে আড়াাই ঘণ্টার বেশি। সড়ক মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ সেইসঙ্গে সড়ক সম্প্রসারণে উন্নয়ন কাজ চলমান থাকায় এমনিতেই সড়কে ধীরগতির তার সঙ্গে তীব্র যানজট যুক্ত হওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।  

শুক্রবার সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের হেমায়েতপুর থেকে নবীনগর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ কিলোমিটার ও নবীনগর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা-আরিচা ও নবীনগর-চন্দ্রা মিলিয়ে দুই সড়কে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
 
এতে সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকা কোরবানির পশুবাহী পরিবহনের গরু ও যাত্রীবাহী পরিবহনের যাত্রীরা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। 

বড়িশালাগামী যাত্রী তাহদি আহমেদ জানান, গাবতলী থেকে সাভার আসতেই সোয়া তিন ঘণ্টা লেগেছে। আর আরেকজন আত্মীয় একইভাবে আটকে আছে সাভারের বাইপাইলে।

এদিকে ঢাকামুখী রাস্তা ফাঁকা থাকলেও বিপরীতে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়ায় আটকে পড়া যাত্রী বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।

শাহনাজ বেগম নামে ঠাকুরগাঁওগামী একজন যাত্রী বলেন, ‘ঈদের আগে এই যানজট এখন আমাদের নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ 

মো: আনিসুর রহমান বলেন, আজ ‘লকডাউন’ শিথিলের ২য় দিন চলছে। বাসে উঠেছি ভাবছিলাম নবীনগর সেনা শপিং কমপ্লেক্স মার্কেট করতে যাব। কিন্তু বাসে ওঠার একটু পরেই দেখি বিশাল যানজট। যেখানে শ্রিপুর থেকে আমার নবীনগর যেতে লাগে ২০-২৫ মিনিট, এখন তো দুই ঘণ্টা ধরে বসে আছি, ইপিজেডই পার হতে পারিনি।

মোঃ আবেদ মিয়া বলেন, সকালে আরিচা থেকে গুরু নিয়া রওনা দিছি। সব জায়গায় ভালোই আসলাম, কোথাও গাড়ি দাঁড়াইলো না। কিন্তু ধামরাই পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জ্যামে পরে গেছি। দেড় ঘণ্টা ধরে বসে আছি, এখনো নয়ারহাট পার হইতে পারি নাই। শুধু জ্যাম হইলে এক কথা ছিল, সঙ্গে অনেক রোদ। গরমের জন্য গরুগুলোর মুখ দিয়ে লালা বের হইতাছে। আল্লাহ ভালো জানেন, কি হবে, কোনো গরু যেনো স্ট্রোক না করে। সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে ট্রাফিক সদস্যদের।

সাভার ট্রাফিক ইনচার্জ (টিআই) আব্দুস সালাম  বলেন, ঈদ আসলে সড়কের যানজট সৃষ্টি হতেই পারে কিছু করার নেই আমাদের। ঢাকায় গরুর গাড়ি ঢুকছে দু’দিন তিনদিন ধরে। এখন আরও চাপ বেড়েছে ৷ যানজট নিরসনের জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।

আমারসংবাদ/কেএস