Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

সিরাজদীখানে বসেছে কোরবানির পশুর হাট, জমেনি বেচাকেনা

সিরাজদীখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি 

জুলাই ১৬, ২০২১, ১১:৩০ এএম


সিরাজদীখানে বসেছে কোরবানির পশুর হাট, জমেনি বেচাকেনা

কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার ৮টি স্থানে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে এখনো জমে ওঠেনি বেচাকেনা। 

ইজারাদারদের দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পরিচালনা করা হচ্ছে হাট। এতে প্রথম দিনে ক্রেতা ছিল কম, বিক্রিও ছিল কম। বেশিরভাগ ক্রেতা এসেছে হাট দেখতে।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার মালখানগর কলেজ মাঠে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। মাঠের সারি সারি গরু ছাগল বেঁধে রাখা হয়েছে। আর ক্রেতারা এসে পশুর দরদাম করছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্রেতা প্রথম দিন হওয়ায় হাট ঘুরে দেখছে, কেউ কিনছে না। এমনি চিত্র দেখা গেছে।

ক্রেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ প্রথম দিন দরদাম করে দেখছি, যদি দরদামের বনে তবে গরু কিনে বাড়ি যাব। আর যদি দরদামের না বনে তবে আরো তিন দিন আছে তার মধ্যে কিনে নিব। 

চরবয়রাগাদী থেকে কৃষক করিম শেখ ২টি গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। তিনি জানান, আজ প্রথম দিন হওয়ায় কেউ গরু কিনছে না, সবাই এসে দেখে চলে যাচ্ছি।

উপজেলা ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ৮টি কুরবানির পশুর হাট বসবে। মালখানগর, ইছাপুরা, কুচিয়ামোড়া, ইমামগঞ্জ, হাজী বাজার, বানু মার্কেট, মাস্টার আ. রহমান একাডেমী, খালপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আসন্ন পশুরহাটে ও পশু কুরবানীতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে পশুরহাটে বয়স্ক ও শিশুসহ একটি পশু ক্রয়ে দুইতিন জনের অধিক মানুষ হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। 

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ৩ হাজার গরুর খারার রয়েছে। প্রায় ১শ ছাগলের ছোট বড় খামার গড়ে উঠেছে। এখন অনেক শিক্ষিত যুবক ডেইরি ফার্ম ও গরু মোটা তাজাকরণকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। যে কারণে প্রত্যন্ত এরাকায় ছোট ছোট গরু, ছাগলের খামার গড়ে উঠেছে। সারাবছর কসাইদের কাছে বিক্রির পাশাপাশি কিছু কিছু স্পেশাল গরু তৈরি করা হয় কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে। 

এছাড়া গ্রামের একজন বিধবা মহিলা বা সাধারণ কৃষক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ গরু, ছাগল পালন করে যাচ্ছে। এ উপজেলায় ছোট বড় গরুর খামারে প্রায় ৭ হাজারে বেশি গরু রয়েছে। এছাড়া ছাগল প্রায় ২হাজারের বেশি রয়েছে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার থেকে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। তবে এবার করোনা ভাইরাস বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতাদেও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়ার পর্যপ্ত ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং নিজ খরচে পশুর হাটে বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। আর পশুর হাটের দরপত্রে ইজারাদাররা দূর-দূরান্ত থেকে আগত পাইকারদেও জান-মালের নিরাপত্তাসহ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা বাধ্যতামূল করতে বলা হয়েছে। আর যদি কেউ উপজেলা প্রশাসন নির্ধারিত গরু-ছাগলের হাসিল মূল্যের বাইরে বেশী অর্থ আদায় করতে পারবে না। তাছাড়া স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষিত হলে হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে। 

আমারসংবাদ/কেএস