Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

হত্যার ২ মাস পর লাশ উদ্ধার, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ২

আবু হানিফ রানা,মুন্সীগঞ্জ 

জুলাই ১৬, ২০২১, ০১:৪৫ পিএম


হত্যার ২ মাস পর লাশ উদ্ধার, স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার ২

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভাধীন পূর্বশীলমান্দি গ্রামের আলোচিত আরাফাত হত্যার ২ মাস পর নিজ বাড়ির পরিত্যক্ত লাকড়ির ঘরে মাটির নিচ থেকে লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৪টার সময় লাশ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গত ২০ রমজান ফজরের নামাজ পড়তে গিয়ে মসজিদে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন আরাফাত (৪৩)। পরে এলাকার লোকজন তাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। একই দিন দুপুরে তার স্ত্রী সবাইকে জানায় তার স্বামী ঢাকাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গেছে। এরই সূত্র ধরে মুন্সীগঞ্জ থানায় একটি জিডি দায়ের করেন আরাফাতের স্ত্রী আকলিমা আক্তার (৪০)। জিডি করেই সে বাবার বাড়ি চলে যায়। 

এদিকে আরাফাত মোল্লা নিখোঁজের আলোকে আত্মীয় স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। পুলিশও চেষ্টা অব্যাহত রাখেন শুক্রবার সকালে আরাফাতের স্ত্রী আকলিমা আক্তার তার স্বামীর বন্ধু। শিপলু সরকারের কথা বলার এক ফাঁকে বলে ফেলে যে সে তার স্বামী আরাফাত মোল্লাকে খুন করেছে। তৎক্ষণাত শিপলু সরকার মুন্সীগঞ্জ সদর থানা পুলিশকে ফোনে জানালে পুলিশ ঘনটাস্থল গিয়ে নিহত আরাফাতের স্ত্রীকে ও তার সহযোগি পাশের মতিনের মেয়ের জামাই যশোর জেলার (বর্তমানে পাশের বাড়িতেই শশুর বাড়িতে থাকে) রিয়াজ মিয়া (২৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে এবং আকলিমার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে যে লাকড়ির ঘরে আরাফাতকে মেরে মাটির নিচে ফুতে রেখেছে। পুলিশ আবার ঘটনাস্থল গিয়ে আরাফাতের পরিত্যক্ত একটি লাকড়ি রাখার ঘরের মাটির নিচে থেকে গলিত লাশ উদ্বার করে সুরতহাল নোট করে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। 

এ সময় ঘটনাস্থল উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সুমন দেব, সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজ উল ইসলাম, সদর থানার ওসি আবু বকর ছিদ্দিক, ওসি তদন্ত রাজিব হোসেন খান।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ওপ্রশাসন) সুমন দেব আমার সংবাদকে বলেন, আরাফাত নিখোঁজের আলোকে তার স্ত্রী মুন্সীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী দায়ের করেন। তদন্তের স্বার্থেই আমরা তার ওয়াইফকে ইন্টারগেশন করি এবং আমাদের ইন্টাগেশনে আরাফাতের স্ত্রী স্বীকার করে যে সে ও আরেকজন সহযোগি মিলে আরাফাতকে মেরে তাদের লাকড়ি রাখার ঘরে মাটির নিচে ফুতে রেখেছে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাকে ঘটনাস্থল নিয়ে আসি এবং তার দেখানো স্থান থেকে আরাফাতের লাশ উদ্বার করি। আকলিমা ও তার সহযোগি রিয়াজকে গ্রেপ্তার করি। 

আমারসংবাদ/কেএস