মোঃ শরিফ শেখ, সাভার
জুলাই ১৭, ২০২১, ১১:০০ এএম
পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আছে আর মাত্র ৪ দিন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই হাঁকডাক আর ব্যস্ততা বাড়ছে আশুলিয়ার নরসিংহপুর কোরবানির পশুর হাটে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেল ভিন্নতর চিত্র। ইজারাদারদের হাসিল ঘরে থরে থরে সাজানো মাস্ক আর হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
মাস্ক ছাড়া হাটে প্রবেশ রয়েছে কড়াকড়ি। স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে মেডিকেল টীমের পাশাপাশি রয়েছে ইজারাদারদের শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক।
আশুলিয়া নরসিংহপুর গরুর হাটের ইজারাদার নুরুল-আমিন সরকার জানান, আগে জীবন তারপর জীবিকা। সবার আগে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা তারপরে বেচাকেনা- এমন অঙ্গীকার নিয়ে চলছে আমাদের হাটের কার্যক্রম।
ইতোমধ্যে জমে উঠেছে আশুলিয়ার নরসিংহপুর এলাকার এই পশুর হাট। দূরদূরান্ত থেকে হাটে আসছে নানান আকৃতির গরু, ছাগল মহিষ। ৫০ হাজার টাকা থেকে ৮ লাখ টাকা মূল্যের বিশালাকৃতির গরু নিয়ে হাটে হাট এসেছেন ব্যাপারীরা।
নরসিংহপুর পশুর হাটের ইজারাদার নুরুল আমিন সরকার আরও জানান, স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য মাস্ক স্যানিটাইজার বিতরণ করতে হাটে শতাধিক কাজ করে যাচ্ছে।
হাটের ব্যাপারীরা জানান, ক্রেতার সমাগমে তারা সন্তুষ্ট। জালনোট শনাক্তকরণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সহ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাটে মোতায়েন রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ক্রেতারা বলছেন, প্রথমদিকে গরুর ব্যাপারীরা বাড়তি দাম চাইলেও এখন ন্যায্যমূল্যে গরু ছাড়তে শুরু করেছেন। সাধ আর সাধ্যের মধ্যে পছন্দের পশু এই হাটে পাওয়ায় বেচাকেনাও জমে উঠেছে নরসিংহপুর হাটে।
হাসিলের বিষয়ে তিনি বলেন, এই হাটে শতকরা পাঁচ টাকা হারে কুরবানীর পশুর হাসিল আদায় করার কথা রয়েছে। তবে অধিকাংশ ক্রেতার আবদার পূরণের লাভের অংশ থেকেও অনেক ছাড় দিতে হয়।
আমারসংবাদ/এআই