Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে গুনতে হচ্ছে তিনগুণ ভাড়া

সাভার প্রতিনিধি 

জুলাই ১৯, ২০২১, ০২:৩০ পিএম


নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে গুনতে হচ্ছে তিনগুণ ভাড়া

ঈদুল আযহা উপলক্ষে শিল্পাঞ্চল সাভার-আশুলিয়ায় সোমবার (১৯ জুলাই) দুপুরে একযোগে সকল কল-কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটির পর পরই নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে ঈদে ঘরে মুখ মানুষ। তাই বাসস্ট্যান্ড গুলোতে নেমেছে হাজারো মানুষের ঢল। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে তিন গুণ ভাড়া নিচ্ছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। পরিবহন গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিট ফাঁকা রেখে চলাচলে সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। দ্বিগুণ যাত্রীর সঙ্গে তিনগুণ ভাড়া নেয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।

সোমবার সন্ধ্যায় সাভার বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল ও আশুলিয়ার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র। ঈদের আনন্দকে ভাগাভাগি করে নিতে লাখো শ্রমিক রওনা হয়েছেন গ্রামের উদ্দেশ্যে। এই সুযোগে গণপরিবহনে ৩০০ টাকার ভাড়া নিচ্ছেন ১ হাজার থেকে ১২শ টাকা পর্যন্ত। এতে অনেকে বাসে উঠলেও কেউ কেউ তর্কে জড়াচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকদের সাথে। 

গণপরিবহনে অধিক ভাড়া হওয়ায় অনেকে আবার রওনা হয়েছেন পশুবাহী ট্রাকে করে।

আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে রংপুরের গ্রামের বাড়িতে যাবেন মিলন মিয়া। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে আশুলিয়ায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করি। দুপুর দুইটায় কারখানা ছুটি হয়েছে। বাসায় এসে দ্রুত করে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা হয়েছি। কিন্তু বাসের ভাড়া ১২০০ টাকা প্রতি সিট। আগে যেখানে ভাড়া ছিল ৪৫০ টাকা । আবার এক সিট ফাঁকা রাখার কথা থাকলেও তা মানছে না কেউ। কিছুই করার নাই। বাড়িতো যেতেই হবে। মা ফোন করে কান্নাকাটি করে বলছে, এখন আর কি করার বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হবে।

সাভার থেকে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ঈদ উদযাপনের উদ্দেশ্যে বাড়িতে যাবেন শরীফ পাটুয়ারী। তিনি বলেন, গত ঈদে বাড়ি যেতে পারি নাই। এবার বাড়িতে যেতেই হবে, ভাড়া যতই বেশি লাগুক, আর যত ভোগান্তিই হোক কিছু করার নাই।  ৪৫০ টাকার ভাড়া নিতেছে ৭০০ টাকা করে। আজকে আরও সব কারখানা ছুটি হয়েছে। বাড়ি পর্যন্ত যেতে তাই একটু ভোগান্তি হইবো।

রেখা এন্টারপ্রাইজের চালক ইউনুস বলেন, আমরা দীর্ঘদিন খুব কষ্টে ছিলাম। গাড়ি চালাইতে পারি নাই। ঈদের পর আবার লকডাউন, তখন আবার গাড়ি বন্ধ থাকবো। এই কয়টা দিন মাত্র গাড়ি চালামু । ঈদ আসলে এমনিতেই ভাড়া একটু বেড়ে যায়, এখন যদি যাত্রীরা অভিযোগ করে, তাহলে আর বলার কিছু নাই। আমরা কাউকে জোর করছি না। যার ইচ্ছা সে যাইতেছে।

গ্রামীন ট্রাভেলস পরিবহনের চালক আশরাফুল বলেন, আমরা তো বেশি ভাড়া নিচ্ছি না। আগে ৪৫০ টাকা ভাড়া ছিল এক সিটের, সেখানে দুই সিটের ভাড়া নিচ্ছি ৭০০ টাকা। এখানে বেশি কোথায় নিলাম? প্রতি সিটেই যাত্রী ওঠানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, যারা দুই সিটেই বসেছেন, তারা একই পরিবারের লোক। আর তারাই যদি অভিযোগ করেন, তাহলে কিছু বলার নাই।

সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। সড়কে পুলিশ সদস্যরা সজাগ রয়েছে। বাড়তি ভাড়া নিলে ব্যবস্থা নিচ্ছি। 

আমারসংবাদ/কেএস