Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

সখীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, অতঃপর পুলিশের হস্তক্ষেপে বিয়ে

জুলাই ২০, ২০২১, ০৭:১৫ এএম


সখীপুরে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, অতঃপর পুলিশের হস্তক্ষেপে বিয়ে

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে পাঁচ মাস ধরে ধর্ষণ করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ হওয়ার পর বর বাড়ি ফিরেছে। চারদিন পালিয়ে থাকার পর গতকাল সোমবার বাড়ি ফিরে ওই রাতেই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করেন ওই বর।

সখীপুর থানা-পুলিশের চাপে ওই বর বিয়ে করতে সম্মত হয়েছে বলে সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
 
পালিয়ে যাওয়া ওই বরের নাম দীপক চন্দ্র সরকার (২৫)। সে উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের একটি গ্রামের শিপন সরকারের ছেলে। সে বর্তমানে টাঙ্গাইল শহরে একটি ক্লিনিকে চাকরি করছেন।

পুলিশ জানায়, ছয়-সাত মাস ধরে প্রতিবেশী দীপক সরকারের সঙ্গে কলেজছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত পাঁচ মাস ধরে দীপক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় রাতেই মেয়েটির সঙ্গে সময় কাটান।

গত বুধবার রাত সাড়ে ১২টায় মেয়েটির বাবা ও এলাকাবাসী দীপনের বাড়ি থেকে মেয়েটিকে খুঁজে পেলে দুজনের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়। ওই সময় বিয়ের শর্তে মেয়েটি তাঁর বাবার সঙ্গে বাড়ি ফিরে যায়।

গত শুক্রবার দুই পক্ষের সম্মতিতে এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করতে বৈঠকের আয়োজন করেন। বৈঠকের আগের দিন দীপক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। উপায়ন্তর না পেয়ে গত রোববার মেয়েটি বাদী হয়ে দীপককে আসামি করে সখীপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। পরে থানা-পুলিশের চাপের মুখে দীপক পালিয়ে যাওয়ার চারদিন পর বাড়ি ফিরে গতকাল সোমবার রাতে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেন।

হাতীবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শুকলাল চন্দ্র সরকার বলেন, গতকাল সোমবার দীপক বাড়ি ফিরে আসায় ও বিয়েতে সম্মত থাকায় গতরাতেই ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়।

এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে সাইদুল হক ভুইঁয়া  বলেন, উভয়ের সম্মতিতেই তাঁরা পাঁচ মাস ধরে মেলামেশা করছেন। ধর্ষণের মামলা হলে উভয়েরই ক্ষতি হতো। দীপককে বিয়ে করার চাপ সৃষ্টি করলে সে সম্মতি প্রকাশ করে। গতরাতে বিয়ে হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।

আমারসংবাদ/এআই