Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সম্পন্ন হলো নিয়োগ পরীক্ষা

মো. মামুন মিয়া, মানিকগঞ্জ

জুলাই ২৩, ২০২১, ০৯:৫৫ এএম


নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সম্পন্ন হলো নিয়োগ পরীক্ষা

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারী সবুজসেনা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার অভিযোগ উঠেছে। 

অভিযোগ রয়েছে, যাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তারা সবাই উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতির নিকট আত্মীয়। 

গত ১৯ জুলাই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সবুজ সেনা উচ্চ বিদ্যালয়কে চিঠির মাধ্যমে যাবতীয় নিয়োগ কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। 

কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি চরকাটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেকের যোগসাজশে গোপনে শিবালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

জানা যায়, চরকাটারী ইউনিয়নের সবুজসেনা উচ্চ বিদ্যালয় আয়া, নৈশপ্রহরী ,অফিস সহায়ক ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটরের এই ৪টি পদগুলো বেশ কিছুদিন ধরে ফাঁকা থাকায় গত ১৩ জুন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। 

এরপর গত ১৫ জুলাই ডিজির প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার আদেশ পান শিবালয় উপজেলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হযরত আলী। 

এ বিষয়ে হযরত আলী জানান, গত ১৯ জুলাই যে চিঠিতে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সেই চিঠি তাদের হাতে আসেনি বলে জানান তিনি। 

তিনি আরও বলেন, চিঠি পেয়ে নিয়োগের কাজ শুরু করি। লকডাউন এর কথা চিন্তা করে ঈদের পরের দিনই পরীক্ষা নেয়া হয়। উক্ত ৪টি পদের বিপরীতে মোট ২০জন ব্যক্তি নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নামেমাত্র নিয়োগ পরীক্ষা চালাচ্ছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক, পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল বারেক ও শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হযরত আলী। আয়া পদের জন্য ৫ জন , নৈশ প্রহরী ৫ জন ,অফিস সহায়ক ৫ জন ও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদের জন্য ৪ জন নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।

পরীক্ষার্থীদের সাথে আসা স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, "এই পরীক্ষা তো মানুষকে দেখানোর জন্য, নিয়োগ তো হয়ে গেছে আরও এক মাস আগের রাতে। তারা আরো বলেন, ১০ থেকে ১৫ লক্ষ টাকা ছাড়া কি চাকরি মেলে? আর যেই স্কুল এখানে তো চাকরি করতে গেলে টাকা ছাড়া কোন কথায় নাই।"

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুল বারেক অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা কোনো নিয়োগ স্থগিত করার চিঠি পাইনি আর এখানে অর্থ লেনদেনের কোন সুযোগ নেই।

[media type="image" fid="133820" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

শিবালয় সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগ পরীক্ষায় ডিজির প্রতিনিধি হযরত আলী বলেন, আমি নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করার কোন চিঠি পাইনি। পেলে তো আমি নিজে পরীক্ষা বন্ধ করে দিতাম।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এমদাদুর রহমান তালুকদার সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলতে বলে ও ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন রেখে দেন।

আমারসংবাদ/এআই