Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪,

বদরগঞ্জে আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

বদরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি

জুলাই ২৭, ২০২১, ১০:০০ এএম


বদরগঞ্জে আমন চাষে ব্যস্ত কৃষক

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় চাষিরা আমন রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় ৬০ভাগ জমিতে এখনও আমন চারা রোপন করতে না পারায় হতাশায় ভুগছেন চাষীরা। লকডাউন ও করোনা দুর্যোগে শ্রমিক সংকট না থাকায় ধানের বাজার মুল্য ভাল থাকায় এবারেও লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের ন্যায় স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করছে কৃষি অফিস। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে ১৯ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ৪০ ভাগ জমিতে আমন চারা রোপন করা সম্ভব হয়েছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টির পানির অভাবে নিচু জমিতে চারা রোপন সম্ভব হলেও অপেক্ষাকৃত উচু জমিতে এখন পর্যন্ত চারা রোপন করতে পারেনি কৃষক। তবে আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে বাকি জমিতে চারা রোপন সম্পূর্ণ করতে পারবে চাষিরা আশা করছেন। 

উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবপুরের আমন চাষি শাহিনুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ প্রর্যন্ত ১২ দোন (২৫ শতকে এক দোন) নিচু দোলা জমিতে ধানের চারা রোপন করেছি, বাকি জমি গুলো উচু। বৃষ্টি না হলে সেগুলোতে সেচের মাধ্যমে চারা রোপন করতে হবে। 

কালুপাড়া ইউনিয়নের শংকরপুর বড়াইবাড়ির চাষী দিজেন চন্দ্র জানান, ৭ বিঘা জমি আমন বীজ রোপন করবো বলে তৈরি করে রেখেছি কিন্তু পানির অভাবে পারছি না। অথচ গত আমন মৌসুমে টানা বর্ষণ ও দু’দফা বন্যায় তার আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যায়। আর এবার সেই বৃষ্টি না হওয়ায় চারা রোপন করা যাচ্ছে না। 

এদিকে কথা হয় পৌর এলাকার লাবলু মিয়া বলেন, ১০ বিঘা জমিতে সেচ ব্যবস্থার মাধ্যমে আগাম জাতের  বিআর-১১ ও হাইব্রিড ধান লাগিয়েছি। গত মৌসূমে আমনের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় এবারে আগে ভাগেই চাষ  করেছি। আশা করি কোন দূর্যোগ না আসলে ভাল ফলন পাবো।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কনক চন্দ্র রায় বলেন, আমন মৌসুমে বেশিরভাগ জমিতে হাইব্রিড, উফশি ও সামান্য কিছু স্থানীয় জাতের ধানের চাষ হয়ে থাকে। সেকারনে লক্ষমাত্রার চেয়ে উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। 

তিনি আরও বলেন, অপেক্ষাকৃত নিচু দোলা প্রকৃতির জমিতে ইতোমধ্যে ধান রোপন করেছে কৃষক। যারা বৃষ্টির পানির অপেক্ষায় আছেন তারাও আগামী ২০-২৫ দিনের মধ্যে বাকী জমিতে ধান চাষ করতে সক্ষম হবে। 

উপজেলা কৃষি অফিসার গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, গত বছরের ন্যায় লক্ষ্যমাত্রা স্থিতিশীল থাকলেও ধান উৎপাদন আগের তুলনায় বাড়বে। কারণ ধানের বাজার মূল্য ভাল, সেই সাথে স্থানীয় জাতের তুলনায় উচ্চ ফলনশীল ধান চাষে কৃষক বেশি উৎসাহিত হচ্ছেন।

আমারসংবাদ/কেএস