Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪,

ব্যবসায়ীকে মারধরসহ স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

লালমনিরহাট প্রতিনিধি 

জুলাই ৩০, ২০২১, ০২:১০ পিএম


ব্যবসায়ীকে মারধরসহ স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধরসহ স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এমদাদুল হক নামে ওই ব্যবসায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় পৃথক পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া গ্রামের তরিমুদ্দিনের পূত্র এমদাদুল হকের বড়খাতা বাজারে একটি যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বড়খাতা বাজারে তার দোকানের পাশে একটি চায়ের দোকান থেকে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের হুকুমে শফিকুল ইসলামসহ ৩ জন গ্রাম পুলিশ এমদাদুল হককে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ তাকে মারপিট করে ১০টি জমির দলিলে (স্ট্যাম্প) স্বাক্ষর নেয়। এবং বড়খাতা বাজারে ব্যবসা করতে দিবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

এ ঘটনায় এমদাদুল হক বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন ও হাতীবান্ধা থানায় দুটি পৃথক পৃথক অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, এমদাদুল হকের বাড়ি আমার পার্শ্ববর্তী ফকিরপাড়া ইউনিয়নে। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসুস্থ হওয়ায় এমদাদুলের সাথে তার ভাইদের জমিজমা নিয়ে একটি বিবাদের মিমাংশা করে দিয়েছি মাত্র। মারধর এবং জোর পূর্বক স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ মিথ্যা।

হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম জানান, বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে এক ব্যবসায়ীকে মারধরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন বলেন, গ্রাম পুলিশ ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্বে অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমারসংবাদ/কেএস