Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

কুশিয়ারা থেকে বালি উত্তোলন: ঝুঁকিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প

আবদুল মতিন, ওসমানীনগর (সিলেট)

জুলাই ৩১, ২০২১, ০২:৫০ পিএম


কুশিয়ারা থেকে বালি উত্তোলন: ঝুঁকিতে আশ্রয়ণ প্রকল্প

সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা ও মৌলভীবাজারের সদর উপজেলা সীমানায় কুশিয়ারা নদীর মধ্যবর্তী স্থান থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। ঈদের আগ থেকে শেরপুর নতুনবস্তি এলাকার এমরান ও রাসেল ড্রেজার মিশন দ্বারা এই বালু উত্তোলন করছেন বলে জানা গেছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙন ঝুঁকির মুখে পড়বে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরসহ লোকালয়, এমনটাই আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, সরকারি অনুমতি ছাড়াই বেশ কয়েকদিন যাবৎ কুশিয়ারা নদীর বালাগঞ্জ উপজেলাধীন পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের ঐয়া এবং মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনুমূখ ইউনিয়নের বাহাদুরপুর এলাকায় নদীর মধ্যবর্তী স্থান থেকে ড্রেজার মেশিন দ্বারা বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদী থেকে উত্তোলিত বালু শেরপুরের মৌলভীবাজার সীমানায় ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় জমা করে সেখান থেকে বিভিন্ন স্থানে পাচার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

বালু উত্তোলনের স্থানের নিকটবর্তী নদীর পারে বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের ঐয়া এলাকায় ১৫টি, কিত্তে জালালপুর এলাকায় ১২টি এবং ওসমানীনগরের পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের আলীপুরে ১২টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর রয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এই ঘরগুলো সহ লোকালয় ভাঙনের আশঙ্কা তৈরী হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে বালুগুলো বালাগঞ্জের বোয়ালজোড় ইউনিয়নের একটি আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য উত্তোলন করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন রাসেল। ড্রেজার মেশিন দ্বারা প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ হাজার সিএফটি  বালু উত্তোলন সম্ভব হলেও তার দাবি ৮-১০ হাজার সিএফটি বালু তুলছেন। আশ্রয়ন প্রকল্পের অযুহাতে লাখ লাখ সিএফটি বালু তুলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা। পক্ষান্তরে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। 

স্থানীয় ঐয়া গ্রামের বখতিয়ার উদ্দিন বলেন, ঈদের আগ থেকে ঐয়া এলাকায় নদীর মাঝখান থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। বালু উত্তোলনের কারণে লোকালয়সহ আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ভাঙনের ঝুঁকি তৈরী হয়েছে। 

রাসেল আহমদ বালু তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রশাসনের জ্ঞাতসারে একটি আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য বালু তুলছি। আগামী ৫ আগস্ট পর্যন্ত  পর্যন্ত বালু তুলবেন বলে জানান তিনি। 

বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্পের জন্য গত ২৮ জুলাইয়ের পর কোন বালু তুলার কথা নয়। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।     

মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা রহমান বালু উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। 

আমারসংবাদ/এআই