Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

স্কুল বন্ধ, কমলা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষক ফাতেমা মজুমদার

এস. আর শরিফুল ইসলাম রতন, লালমনিরহাট

আগস্ট ৩, ২০২১, ০৯:৫০ এএম


স্কুল বন্ধ, কমলা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষক ফাতেমা মজুমদার

মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে গত এক বছর যাবত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, তাই ঘড়ে বসে সময় নষ্ট না করে কমলা বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কমলা চাষী লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিমসারডুবী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক মোছা: ফাতেমা মজুমদার। প্রধানমন্ত্রী দেয়া পরামর্শ আর জাতীয় পুরস্কারই আরো উৎসাহ বাড়িয়ে দেয় ফাতেমার।

জানা গেছে,উপজেলার মিলন বাজার মোজাম্মেল হোসেন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পশ্চিম সারডুবী এলাকার খলিলুর রহমান এর স্ত্রী পশ্চিম সাড়ডুবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফাতেমা মজুমদার গত ২০০৫ ইং সালে কমলা খেয়ে বীজ রোপণ করে পরীক্ষামূলক ১ টি চারা গাছ থেকে আজ বিশাল বাগান করতে সক্ষম হয়েছে। 

বর্তমান নাগপুরি সহ বিভিন্ন উন্নত জাতের ৫ শতাধিক গাছে কমলা ধরেছে। চারা গাছ ও কমলা বিক্রী করে প্রতি মৌসুমে ৫ লাখ টাকা আয় করেন। ইতোমধ্যেই একজন সফল কমলা চাষী হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। 

এছাড়াও সাংবাদিক কর্তৃক বাগানের ছবি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর জেলা প্রশাসক সহ একের পর এক সরকারী, বেসরকারী উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের আগমন ঘটেছিল কমলা বাগান পরিদর্শনে। ২০১৪ সালে শুরু হয় বাগান থেকে কমলা বিক্রী, এরই এক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কমলা চাষী হিসেবে ২০১৬ ইং সালের ৭ জানুয়ারী প্রধানমন্ত্রীর দেয়া জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন ফাতেমা মজুমদার। 

সরজমিনে গেলো শুক্রবার কথা হয় কমলা চাষী ফাতেমা মজুমদারের সাথে। এসময় তিনি বলেন, কমলা একটি অর্থকারী ফল হলেও আমরা উত্তরাঞ্চলের মানুষ হিসেব করি না। অথচ এ অঞ্চলের মাটি কমলা চাষের উপযোগি, তার বাস্তব প্রমান আমার বাগান। 

প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নে নারীরাও পারেন সহযোগিতা করতে। তাই আমি চুপ করে ঘড়ে বসে না থেকে কৃষি সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মে অংশ নিচ্ছি। এখন পর্যায়ক্রমে বাগান সম্প্রসারিত করে ৫ শতাধিক কমলা গাছ থেকে কমলা ও নার্সারী থেকে হাজার হাজার কলম চারা বিক্রী করে বছরে ৫ লাখ টাকা আয় হচ্ছে।

স্বামী ও স্ত্রী দুজনেই চাকরিজীবী (শিক্ষক) হয়েও অসম্ভবকে সম্ভব করে এ বিশাল কমলা বাগান লালমনিরহাট জেলার বহুল প্রসংশনীয় বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে জেলাবাসির কাছে। দুজনের চাকরি জীবন,স্কুল টাইম ও দায়িত্ব পালন শেষে অবসর সময়ের সফলতা ও বারতি আয় বদলে দিয়েছে ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে সহ ৫ সদস্য’র পরিবারের ভবিষ্যৎ চলার গতি ধারাকে।

আমারসংবাদ/এআই