Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

ফেঞ্চুগঞ্জ শাহজালাল সার কারখানায় দুর্নীতি, দুদকের ১৫টি মামলা

ফেঞ্চুগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি

আগস্ট ৫, ২০২১, ১১:৫৫ এএম


ফেঞ্চুগঞ্জ শাহজালাল সার কারখানায় দুর্নীতি, দুদকের ১৫টি মামলা

ভুয়া বিল-ভাউচারে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল সার কারখানা প্রকল্পের ৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সমন্বিত সিলেট জেলা কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক নূর-ই আলম বাদী হয়ে ৩ আগস্ট এ  মামলা দায়ের করেন। 

মামলায় শাহজালাল সার কারখানার দুই কর্মকর্তা (বহিস্কৃত) ও ৮ জন ঠিকাদারকে আসামি করা হয়েছে।

বুধবার (৪ আগস্ট) দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক এ তথ্য জানান।

আসামিরা হলেন- শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা সাবেক সহকারী প্রধান হিসাব রক্ষক ও হিসাব বিভাগীয় প্রধান (বরখাস্ত) খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল এবং প্রকল্পের সাবেক রসায়নবিদ (বরখাস্ত) নেছার উদ্দিন আহমদ। 

মামলার আসামি আট ঠিকাদার হলেন-মেসার্স টিআই ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোসা. হালিমা আক্তার, মেসার্স রাফী এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নুরুল হোসেন, ফালগুনী ট্রেডার্সের এমডি এএসএম ইসমাইল খান, মেসার্স আয়মান এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুল হক, মেসার্স এন আহমদ অ্যান্ড সন্সের মালিক নাজির আহমদ (বচন), মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হেলাল উদ্দিন, মেসার্স ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জামশেদুর রহমান খন্দকার ও মেসার্স সাকিব ট্রেডার্সের মালিক মো. আহসান উল্লাহ চৌধুরী।

জানা গেছে, দুর্নীতির অভিযোগে মামলাগুলোর প্রধান আসামি খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল ও অপর আসামি প্রতিষ্ঠানের সাবেক রসায়নবিদ নেছার উদ্দিন আহমদকে বরখাস্ত করা হয়। 

সরকারি মালিকানাধীন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ওই সার কারখানা থেকে বরখাস্তের পর প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ তদন্ত ও দুদকের অনুসন্ধানে তাদের দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ বেরিয়ে আসে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ- পরিচালক নূর-ই- আলম বলেন, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পর থেকে আমরা তদন্ত শুরু করি। ছয় মাস দীর্ঘ তদন্ত করে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এরপর মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করা হয়। বুধবার সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এজাহগার জমা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পর এখন অধিকতর তদন্ত চলবে। তদন্তে অর্থ আত্মসাতের সাথে আরও কারো সমম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাকেও আসামি করা হবে।

এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ শাহজালাল ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরির কারও বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ফ্যাক্টরির একটি সূত্র জানিয়েছে, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠার পরই দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে জরাজীর্ণ হয়ে পড়া প্রাকৃতিক গ্যাস সারকারখানা (এনজিএলএফ) দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গোণায় এই কারখানার পাশেই প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শাহজালাল সার কারখানা নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালে প্রথম বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে শাহজালাল সার কারখানা লিমিটেড। তবে নানা কারণেই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে এই কারখানা।

আমারসংবাদ/এআই