Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

বর্ষা মৌসুমেও পানির অভাব, ব্যাহত হচ্ছে আমনের চাষাবাদ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি  

আগস্ট ৮, ২০২১, ০৯:২০ এএম


বর্ষা মৌসুমেও পানির অভাব, ব্যাহত হচ্ছে আমনের চাষাবাদ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে দেশের উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। অথচ ভরা বর্ষা মৌসুমেও উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে বৃষ্টির দেখা নেই। প্রকৃতির এ খামখেয়ালিতে চিরচেনা বর্ষা মৌসুম যেন এখন শুধুই কাগজে।

ফলে পানির অভাবে জেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না।

ডোবা-নালায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দিতেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কৃষক। ফলে বর্ষা মৌসুমেও জমিতে সেচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অন্যদিকে জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ না হওয়ার উদ্বিগ্ন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও।

লালমনিরহাট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম বলেন, গত বছর বর্ষা মৌসুমে জেলায় ৮৭ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছিল ৮৫ হাজার ৫৭৫ হেক্টর।

বৃষ্টির পানির অভাবে ১ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করতে পারেননি কৃষকরা। এ বছর জেলায় ৮৫ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে।

বৃষ্টির পানির অভাবে ডিজেলচালিত শ্যালো ইঞ্জিন ও বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে সেচের মাধ্যমে ৩৪ হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।

আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেছে, শ্রাবণও অর্ধেক চলে গেছে। এখন যদি প্রাকৃতিক নিয়মে বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে এবারো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হবে না। এছাড়া এ বছর ৪ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা পানির অভাবের কারণে পাট পচাতে পারছে না বলেও জানান তিনি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের হরিঠাকুর এলাকার চাষি আব্দুল করিম মাস্টার বলেন, আমার তিন একর জমির মধ্যে এক একর আমন ধানের চারা রোপণ করতে পেরেছি।

এখন দুই একর জমি পানির অভাবে ধানের চারা রোপণ করতে পারছি না। কিছু জমিতে ডিজেল চালিত শ্যালো ইঞ্জিন দিয়ে চাষ করার চেষ্টা করছি। একই ইউনিয়নের হরিঠাকুর এলাকার শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহ জালাল মন্ডলও একই কথা বলেন।

লালমনিরহাট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) শামীম আশরাফ বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যস্ততা মাথায় নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা ও কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। এখন পর্যন্ত ৬০ শতাংশ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। বাকি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে সেচ দিতে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আমারসংবাদ/কেএস