Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

পাটগ্রামে নিষ্কাশন নালা বন্ধ করায় তলিয়ে গেছে ফসল, ভোগান্তিতে কৃষক

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি

আগস্ট ২৬, ২০২১, ০৯:৪৫ এএম


পাটগ্রামে নিষ্কাশন নালা বন্ধ করায় তলিয়ে গেছে ফসল, ভোগান্তিতে কৃষক

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড নবীনগর গ্রামের দবির মুন্সির টারী এলাকায় পানি নিষ্কাশন নালা বন্ধ করে দেয়ায় জলাবদ্ধ সৃষ্টি হয়েছে। 

এতে প্রায় ৭০ বিঘা জমির ফসল তলিয়ে গিয়েছে। এরফলে আমন ধানের রোপনকৃত চারা, শাক- সবজি ও নার্সারীর বিভিন্ন প্রকার গাছে দেখা দিয়েছে পচন। ভুক্তভোগী কৃষকরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।

নবীনগর এলাকা ঘুরে ও ভুক্তভোগী কৃষক সূত্রে জানা গেছে, একই এলাকার আবুল হোসেন (৬০) প্রায় ১ বছর আগে মাটি ভরাট করে পানি নিষ্কাশনের নালাটি বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ভুক্তভোগী কৃষকরা গ্রামবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির শরণাপন্ন হয়েও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফলে পানিতে তলিয়ে আমন ধানের চারা পচে নষ্ট হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।

বাউরা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড নবীনগর গ্রামের দবির মুন্সির টারী এলাকার বাসিন্দা মশিউর রহমান মহসীন বলেন, 'পানি নিষ্কাশনের নালা বন্ধ থাকায় আমার ৭ বিঘা জমির রোপা আমন ধানের চারা পানিতে তলিয়ে গিয়েছে। যদি সঠিক সময়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না হয় তাহলে ফসলের ক্ষতি আরো বৃদ্ধি পাবে।

একই গ্রামের কৃষক মমিনুর রহমান (৪৮) বলেন, আমি গরিব মানুষ ৪০ শতাংশ জমিতে মেহগনি ,আম, লিচু, মাল্টা সহ বিভিন্ন প্রকার গাছের নার্সারী করছি। এই নার্সারির গাছের চারা বিক্রি করে সংসার চালাই, কিন্তু নার্সারিতে পানি জমার কারণে গাছের গোড়া পচে গাছ মারা যাচ্ছে। এতে আমার ২ লাখ টাকার বেশি ক্ষতি হবে।

বাউরা ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম বলেন, পানি নিষ্কাশনের নালাটি ১ বছর আগে বন্ধ করেছে আবুল হোসেন। তিনি কারো কোন কথা শুনছেন না। যার ফলে গত বছর অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। চলতি বছরও আবাদি জমির ফসল পানিতে তলিয়েছে।

অভিযুক্ত আবুল হোসেন (৬০) বলেন, আমি আমার মালিকানা সম্পতির নালা বন্ধ করেছি, আমি করো জমির নালা বন্ধ করি নাই।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাইফুর রহমান বলেন, 'জলাবদ্ধতার বিষয়ে শুনেছি। স্থানীয়ভাবে খোঁজ খবর নিচ্ছি ও স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।

আমারসংবাদ/এআই