Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

কালীগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ডিসি

মোঃ সাজু মিয়া, কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট)

আগস্ট ২৯, ২০২১, ০৭:১৫ এএম


কালীগঞ্জে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করলেন ডিসি

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা নৌকায় চড়ে পরিদর্শন করলেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু জাফর। এসময় তিনি বন্যাকবলিত এলাকার মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা শুনলেন এবং আশস্ত করলেন। 

জানা যায়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানিতে মানুষ বন্দি হয়ে আছেন। কিন্তু গত দু-মাস ধরে পানি বন্দি হয়ে আছেন উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের মহিষামুড়ী এলাকা। এই এলাকার বন্যার্তদের অভিযোগের যেন শেষ নেই। বিশুদ্ধ পানি, গোখাদ্য, শিশু খাদ্যসহ সকল সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে তাদের মানবেতর জীবনযাপন।

শনিবার (২৮ আগস্ট) বিকালে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুজাফর। তিনি ৩ ঘন্টা ধরে নৌকা যোগে পানি বন্দি মানুষের খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি উপলব্ধি করেছেন বন্যাকবলিত মানুষগুলোর দুঃখ দুর্দশা। পরিদর্শন শেষে পানি বন্দি পরিবারগুলো জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ঘিরে ধরেন। 

জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহোদয় তাদের কাছে জানতে চাইলে উপস্থিত পানি বন্দি মানুষগুলো বলেন, আমরা ১০ কেজি চালের ভিক্ষারী না, আমরা স্থায়ী বাঁধ চাই। বাঁধ হলে আমরা জমি চাষাবাদ করে খেয়ে বাঁচতে পারবো। ভুক্তভোগীদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন-কালীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আব্দুল মান্নান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইসরাত জাহান ছনি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ফেরদৌস আহমেদ, কাকিনা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল হক শহীদ, ইউপি সদস্য ইয়াকুব আলী ও শফিকুল ইসলাম সফি। 

বন্যাকবলিত এলাকার আব্দুল আযাদ(৫২), তাহেরুল মিয়া(৩৫), দুলু মন্সি(৬০) কহিনুর বেওয়া (৬০) ও মোসলেমা বেগম (৫৫) এর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ২ মাস ধরে পানিতে বন্দি আছি কেউ হামাক দ্যাখপার আসিল না তোমরা ছবি তুলি কি করমেন। পরবর্তীতে সাংবাদিক পরিচয় পেলে তারা ভাল করে ছবি তুলতে বলেন। 

[media type="image" fid="139314" layout="normal" caption="1" infograph="0" parallax="0" popup="1"][/media]

এসময় জানতে চাইলে তারা বলেন, গত দুমাস পানিতে বন্দি থাকার পর গত বৃহস্পতিবার ১০ কেজি করে চাল পেয়েছি। সেই চাল বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে মাপযোগ করে দেখি ৮ কেজি। তারা আরো বলেন, আমরা ১০ কেজি চালের ভিক্ষারী না। আমরা চাই চিরস্থায়ী একটা বাঁধ নির্মাণ। বাঁধ নির্মাণ হলে আমরা কর্ম করে নিজের পরিবার নিয়ে বাঁচতে পারবো। 

আমারসংবাদ/এআই