আগস্ট ২৯, ২০২১, ০৮:২০ এএম
গত কয়েক দিনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণে ভূূঞাপুরে যমুনার পানি ৮ সে.মি. বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৪ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর এই পানি বৃদ্ধি ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি সহ যমুনা পূর্ব পাড়ে নদী তীরবর্তী উঁচু সড়কটিতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। এরফলে হুমকিতে রয়েছে মসজিদ, মন্দির সহ পাকা আদাপাকা অসংখ্য ঘর-বাড়ী।
সরজমিনে দেখা যায়, গতকাল থেকে পূর্ব পাড় উপজেলার ভালকুটিয়া, চিতুলিয়াপাড়া এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে নদী তীরবর্তী সড়ক ও মসজিদসহ বেশ কিছু বসতভিটা নদীগর্ভে চলে গেছে। হুমকিতে রয়েছে ভালকুটিয়া এলাকার এই পাকা মসজিদটি। আর এই মসজিদটি রক্ষার জন্য রোববার (২৯ আগস্ট) সকাল থেকে স্থানীয় লোকজন প্লাস্টিকের বস্তায় মাটি ভরাট করে বাঁধ দেয়ার চেষ্টা করছেন।
এসময় স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, বর্ষা আসলেই প্রতি বছর আমাদের এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। শত শত ঘর-বাড়ী সহ হাজার হাজার একর ফসলের জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। আমরা নদী তীরবর্তী লোকজন দীর্ঘ দিন ধরে সরকার ও জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে যমুনার পূর্ব পাড়ে স্থায়ী বাঁধের দাবী জানিয়ে আসছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত স্থানী বাঁধতো দূরের কথা ভাঙন রোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি পানি উন্নয়ন বোর্ড।
চলতি বছরও ভাঙনে নদী তীরবর্তী উঁচু সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় পাকা মসজিদ, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ অসংখ্য ঘর-বাড়ী হুমকির মুখে রয়েছে। আমাদের পাকা মসজিদটি রক্ষার জন্য আমরা এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে কাজ করে যাচ্ছি। পূর্ব পাড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করলে প্রতি বছর নদী ভাঙন থেকে আমরা রক্ষা পাবো।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, যমুনাসহ জেলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বন্যার পানি কমে গেলে ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমারসংবাদ/এআই