Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বাউফলে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে পিটিশিন দাখিল

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

আগস্ট ২৯, ২০২১, ০২:২০ পিএম


বাউফলে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আদালতে পিটিশিন দাখিল

বাউফলে মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাতের (৮) মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে কিনা এ সংক্রান্ত তথ্য তিন দিনের মধ্যে অবহিত করার জন্য বাউফল থানার ওসিকে নিদেশ দিয়েছেন পটুয়াখালীর  সিনিয়র জুডিসিয়ল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. জামাল হোসেন। ওই মৃত শিক্ষার্থী পিতা মো: হাসান প্যাদা রোববার (২৯ আগস্ট) ওই আদালতে নালিশী পিটিশ করলে আদালত বাউফল থানাকে ওসিকে এ নির্দেশ দিয়েছেন। নালিশী পিটিশনে আসামিরা হলে কাশিপুর আল ইয়াসিন মিশু সদনের অধ্যক্ষ হাফেজ মো. জিকিরুল্লাহ ও তার ভাই মো: কাওসার সহ অজ্ঞাত ৩/৪জন। বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. আবদুল্লাহ আল নোমান আদালতে নালিশী পিটিশন দাখিলের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। 

নালিশী পিটিশনে বলা হয়েছে, বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের টমটম চালক হাসান প্যাদা তার ৮ বছরেরর শিশু সন্তান আরাফাতকে ৯ মাস আগে স্থানীয় কাশিপুর আল ইয়াসিন  শিশু সদনে নজরানা বিভিাগে পবিত্র  কোরান শরীফ হেফজ্ করার উদ্দেশ্যে ভর্তি করেন। গত ২৩ আগস্ট সকালে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাফেজ মো. জিকিরুল্লাহ মোবাইল ফোন দিয়ে হাসান প্যাদার পিতা নূর হোসেন প্যাদাকে জানায় যে আরাফাত হোসেন এর ডান চোখে ব্যাথার কারনে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। খবর পেয়ে হাসান প্যাদা তার স্ত্রী মোসা. পরভীন বেগমকে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে তাদের শিশু পুত্রকে মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলায় ফ্লোরে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। এ সময় তারা তাদের শিশু পুত্রের অসুস্থ হওয়ার বিষয়ে  প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও বুয়াকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারেন আগের দিন ২২ আগস্ট বিকেলে অধ্যক্ষ মো. জিকিরুল্লাহ ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে আরাফাতকে মাদ্রাসার দোতালার একটি দেয়ালের সাথে মাথায় একাধিকবার আঘাত করেন। এতে শিশু আরাফাতের  মাথার ডানপাশ ও ডান চোখ গুরুতর জখম হয়। 

পরবর্তীতে তিনি বিষয়টি অভিভাবকদের না জানিয়ে জিকুরুল্লাহ তার ভাই মো. কাওসারকে দিয়ে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করায়। কিন্তু শিশু আরাফাতের অবস্থার অবনতি ঘটলে পরেরদিন তিনি তাদেরকে বিষয়টি জানান। গুরুতর অসুস্থ শিশু আরাফতকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আকার ইঙ্গীতে ও মুখে মাথা ও হুজুর বলে কিছুক্ষণ পড়ে অচেতন হয়ে পড়ে বলে অভিযোগে  করেন।

তাৎক্ষণিক শিশু আরাফাতকে নিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেভর্তি করেন হাসান প্যাদা। পরবর্তীতে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ঐদিনই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। রাত ১১ টায় শিশু অরাফাতকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৪ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশু আরাফাত মারা যায়। ২৫ আগস্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপতালে মর্গে ময়না তদন্ত শেষে বাড়ীতে এনে তাকে দাফন করা হয়। 

অদালতে অভিযোগ কারী শিশু আরাফাতের পিতা মো: হাসান জানান, এ বিষয়ে বাউফল থানায় মামলা করতে গেলে ওসি আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে অনীহা প্রকাশ করায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। 

এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, এঘটনায় শিশুটির পিতা গতকাল (শনিবার) থানায় এসেছিল তিনি মৌখিক অভিযোগ করেছেন, কিন্তু কোন লিখিত অভিযোগ জমা না দেয়ায় মামলা রুজু করা যায়নি।

আমারসংবাদ/কেএস