ভাবীদের সহযোগিতায় গৃহবধূ ধর্ষণ ও ধর্ষক গ্রেপ্তার  

মিঠাপুকুরের অভিরামপুরে দুইভাবীর সহযোগিতায় জুসের মধ্য চেতনানাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর গৃহবধূকে ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে পুনরায় ধর্ষণ করার অপরাধে প্রধান অভিযুক্ত জোবাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত রমজান মাসে ইফতারের দাওয়াত দিয়ে ধর্ষকের ভাবি শাপলা বেগম ও রাশেদা বেগম সুকৌশলে ইফতারের পর জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশানোর পর ওই গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়েন। এই সুযোগে একই গ্রামের মৃতঃ মজিত মিয়ার ছেলে জোবাইদুল ইসলাম ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। 

তিনি যখন বুঝতে পারেন, তখন ধর্ষক জোবাইদুলের ভাবী রাশেদা ও শাপলা বেগম ধর্ষিতাকে ভয় দেখিয়ে বলেন, বিষয়টি কাউকে জানালে তার ভিডিও সবাইকে দেখাবেন। এই বলে বিভিন্ন সময়ে ঐ গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের শিকার ঐ গৃহবধূর স্বামী ঢাকা থেকে আসলে তিনি সব খুলে বলেন। কিন্তু গ্রামের মাতব্বরেরা আজকাল করে করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে তালবাহনা করেন। 

বিষয়টি নিয়ে এ.এস.পি (ডি সার্কেল) কামরুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি আমার সংবাদকে জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। সকলের সঙ্গে কথা বলেছি। মিমাংশার কথা বলে কেউ টাকা পয়সা নিয়েছে কিনা তদন্ত চলছে। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই আব্দুর জব্বারের সঙ্গে কথা হলে তিনি আমার সংবাদকে বলেন, মিঠাপুকুর থানায় চারজনকে আসামি করে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রধান আসামি জোবাইদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ভিকটিমকে মেডিকেল রিপোর্টের জন্য পাঠানো হয়েছে।

আমারসংবাদ/কেএস